হাটহাজারীতে শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি ২০২২ | ৫:২৯ অপরাহ্ণ

হাটহাজারীতে শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ
apps

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫ সালে উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই শিক্ষা অফিসকে বাণিজ্যের আখড়ায় পরিণত করেছেন তিনি। বদলি ঠেকিয়ে বহাল তবিয়তে থেকে যান। নিয়মিত অফিস করেন না।
শিক্ষকরা জিম্মি হয়ে আছে দুর্নীতিবাজ ওই প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা আলমের কাছে। উৎকোচ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। কোনোভাবে মিলছে না এর প্রতিকার। তার এহেন প্রশ্রয়ে উপজেলার পূর্ব পেশকার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রণতোষ কান্তি বড়ুয়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন।

এ ঘটনায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর ‘প্রধান শিক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষর জালিয়াতি প্রসঙ্গে’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। জানা যায়, ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক রণতোষ কান্তি বড়ুয়া শিক্ষকদের বেতন ভাতার হিসাব এ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সরকারি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। তাছাড়া স্কুলের স্লিপের টাকার প্রোজেক্টের কলামে ধাপে ধাপে সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ টাকা এবং মাস্টার রুল কলামে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা আলমের কাছে ভাউচার জমা দেন। যা সম্পূর্ণ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর। তিনি আরও বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রণতোষ কান্তি বড়ুয়ার বিভিন্ন অনিয়ম ও আইন বহির্ভূত একাধিক ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি এমন অনিয়ম আর করবেন না মর্মে ম্যানেজিং কমিটি বরাবর মুচলেকা প্রদান করেন। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে হাটহাজারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা আলম বলেন, পেশকার বাড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির যে অভিযোগটি হয়েছে তা তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা যা রিপোর্ট দিবে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Development by: webnewsdesign.com