রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গৃহবধূ বিষপান করেছে বলে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছেন তার স্বামী। কিন্তু তার মৃত্যুর কথা শুনেই মরদেহ ফেলে পালিয়েছেন গৃহবধূর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের সদস্যরা। গৃহবধূর নাম ঝর্ণা বেগম। তিনি উপজেলার বেতেঙ্গা গ্রামের আসিফ সেখের স্ত্রী।
ঝর্ণা বেগমের ভাই রায়হান জানান, ২ বছর আগে ডাঙ্গাহাতিমোহন গ্রামের আসিফ সেখের সাথে পারিবারিকভাবে আমার বোন ঝর্ণা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় মারধর করতেন। গত বছর যৌতুকের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দেই। এরপর ৩-৪ মাস ভালোভাবে সংসার করতে থাকে। পরে আবারও শুরু হয় পারিবারিক কলহ। কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে ও বুধবার সকাল ৮টার দিকে আমার বোন ঝর্ণা বেগমকে তার স্বামী আসিফ শেখ বেধড়ক মারধর করেন।
মারধরের পর স্বামীর বাড়ির লোকজন এলাকায় প্রচার করে, ঝর্ণা বেগম বিষপান করেছেন। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে আনেন। তাকে ওয়াশ করে বেডে দেয়ার পরই মারা যান। মৃত্যুর কথা শোনার পরই হাসপাতালে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী ও স্বজনরা। গৃহবধূ ঝর্ণা বেগমের ৫ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ঝর্ণা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন ধারণা করছেন, ঝর্ণাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বালিয়াকান্দি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জুয়েল রানা বলেন, হাসপাতালে আনার পর তাকে ওয়াশ করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীনই তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার কথা শুনেই তার স্বামী ও স্বজনরা হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com