স্কুল বন্ধের সুযোগে বেড়ানোর কথা বলে ছাত্রীর সর্বনাশ করল আত্মীয়

বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২১ | ২:৩৯ অপরাহ্ণ

স্কুল বন্ধের সুযোগে বেড়ানোর কথা বলে ছাত্রীর সর্বনাশ করল আত্মীয়
(ছবি- সংগৃহীত)
apps

মোংলার পৌর শহরের সিগনাল টাওয়ার এলাকার স্কুলছাত্রীকে প্রায় ছয় মাস আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাসহ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর নিকটাত্মীয় ও তিন নারীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সাতজনকে আসামি করে মামলা করে স্কুলছাত্রী। পরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- আ. রশিদের মেয়ে শারমিন বেগম (২৫), দেনছের আলীর মেয়ে শিউলী বেগম (৩৮) ও শিল্পী বেগম (৩৬) এবং দেলোয়ার হোসেন (৩০)। এ ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন, মো. আলী হোসেন (৩৮) ও তায়েবা বেগম (৩০)। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী। তাদের সবার বাড়ি কাইনমারী ও সিগনাল টাওয়ার এলাকায়।

পুলিশ আরো জানায়, করোনাকালীন সময় স্কুল বন্ধ থাকায় বেড়ানোর কথা বলে শরণখোলা থানার ধানসাগর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায় ওই ছাত্রীকে। সেখানে প্রায় ছয় মাস ছাত্রীকে মাদকসেবন করিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাত তারা। এ ছাড়া ওই কিশোরীকে আত্মীয় দেলোয়ার পাটোয়ারীও ধর্ষণ করেছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, গত ১১ জানুয়ারি কিশোরীর মা-বাবা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে ধর্ষণ, মাদক সেবন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে। পরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়।

Development by: webnewsdesign.com