চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মোরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। গত সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্যামলী নবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত এলাকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২৫৯ দশমিক ১০ একর জায়গাকে পর্যটনের জন্য সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২৫৯ দশমিক ১০ একর জায়গায় অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের কারণে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে আরও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্ভাবনাময় এই সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ও সেবা খাতের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষে এবং অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধে বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন অনুযায়ী, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের এ এলাকাকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ উল্লাসের কমতি নেই। সীতাকুণ্ডবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল উপজেলার চন্দ্রনাথ পাহাড়, ইকোপার্ক, নতুন গড়ে উঠা গুলিয়াখালী বীচ, ও বাঁশবাড়ীয়া আকিলপুর বীচকে পর্যটন ঘোষণার।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারি সঠিক তদারকির মাধ্যমে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বাস্তবায়ন করা হোক গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা। এতে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি সৈকতের সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠবে।’
স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলম দিদার বলেন, সীতাকুণ্ডে বেশ কযেকটি বিনোদনের স্থান রয়েছে যা পর্যটন এলাকা ঘোষণা করার মতো। প্রথম পর্যায়ে স্থান হিসেবে গুলিয়াখালী বীচকে পর্যটন এলাকা পেয়ে তিনি সন্তুষ্ট। অন্য স্থানগুলোকেও ঘোষণা করার জন্য কাজ করে যাবেন তিনি।
Development by: webnewsdesign.com