সিলেটে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৮:০২ অপরাহ্ণ

সিলেটে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ
apps

গত কয়েকদিন ধরে সিলেটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে। গত ৫ দিনে শুধুমাত্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগী বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।

সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রোববার (২২ ডিসেম্বর) সিলেট শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবারে ছিল ১৩. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত নানারোগ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, গত ৫ দিনে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২০ শতাংশ এবং ইনডোরে রোগী ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, হঠাৎ ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ার কারণে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। মূলত বিগত ৫ দিন ধরে হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর ও প্রতিটি ইউনিটে রোগী বাড়ছেন। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরাই বেশি ভর্তি হচ্ছে। যেখানে আগে প্রতিদিন প্রায় ৭০ জন রোগী ভর্তি হতেন সেখানে গত ৫ দিন যাবত প্রায় ৮৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার প্রকোপ তেমন একটা না থাকলেও শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তারা।

তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের সার্বিক সুচিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। তবে এখন শীতকাল তাই দেখা যাবে হঠাৎ ঠাণ্ডা বাড়ছে হঠাৎ কমছে। তাই এসময় যাদের পরিবারে শিশু বাচ্চা আছে তাদের একটু সর্তক থাকতে হবে। শিশুদের যেন ঠাণ্ডা বাতাস না লাগে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা মিনারা বেগম ২ দিন আগে তার ৩ বছরের ছেলে শৈশবকে ভর্তি করিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনি বলেন, হঠাৎ ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়া আমার ছেলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাই তাড়াতাড়ি ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে আসি। এখন অনেকটা সুস্থ আছে।

শৈশবের মত আরও অনেক শিশু ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শিশুদেরকে ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে মা বাবাকে সচেতন ও সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, ঠাণ্ডা বাতাস ফুসফুসে গেলে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা ঠাণ্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ ক্ষেত্রে শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদেরকে গরম কাপড় পড়াতে হবে। ঠাণ্ডা বাতাস যেন শিশুদের ফুসফুসে না ডুকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Development by: webnewsdesign.com