ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্বকুট্টাপাড়া গ্রামের রামকুমার সড়কটি দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং (পিচ) উঠে গিয়ে রাস্তার খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ,বেহাল দশার এই সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও শুরু হয়নি সংস্কারকাজ। কুট্টাপাড়া গ্ৰামের ১ কিলোমিটার রাস্তা যেন মরণফাঁদ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের হাজারো মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে রাস্তাগুলোর মাঝখানে বড় বড় গড়তো সৃষ্টি হয়েছে। প্রভেটকার, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চরমে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে গেছে, ঘটে দুর্ঘটনা।
এই রাস্তা দিয়ে, বউ বাজার, খন্দকার বাজার,বড় বাজার গ্রামের মানুষদের প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়।চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামের মানুষের। দিন দিন রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে কাজ করছেন সেখানে এই রাস্তার বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংস্কার করার কোন খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
রাস্তার বেহাল দশার কারণে আরো বেশি বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষি জমি থেকে উৎপাদিত ফসল পরিবহনে বেশি টাকা গাড়ী ভাড়া দিতে হয়। এতে করে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এ ছাড়া যানবাহন চলাচল করার সময় সমস্যায় পরতে হয় চালকদের।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামে যাতায়াতের প্রধান রাস্তাটি বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই রাস্তাটি দিয়ে অবাধে চলাচল করে অবৈধ ট্রাক্টর এর কারণে অল্প দিনের রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের রিকশাচালক মিলন বলেন, রাস্তার বেহাল দশার কারণে রিকশা চালিয়ে শান্তি পাই না। সময় বেশি লাগে। আর প্রায় প্রতি সপ্তাহেই রিকসা ঠিকঠাক করতে হয়। এর পেছনেই অনেক টাকা ব্যয় হয়। গ্রামের ভ্যানচালক হেলন জানান। ভ্যান চালিয়ে চলে তার সংসার ভাঙা রাস্তার কারণে ভ্যান চলাতে খুব কষ্ট হয়। একটু ভারী মাল থাকলে গাড়ি উল্টে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুন বলেন, মাটির ট্রাক চলাচলের কারণে পিচপাথর উঠে জায়গায় জায়গায় গর্ত হয়ে আছে। তারমধ্যে একটু বৃষ্টি আসলে গর্ত সব ডুবে যায়। মানুষ শান্তি মতো চলাচল তো দূরের কথা, বাজারঘাটও ঠিকভাবে যেতে পারে না।
সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, রাস্তাটি পিচ ডালাই করলে গাড়ি যাতায়াতে অতি তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমি নিজে রাস্তাটি আর্রসি করার জন্য কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। দশ বার দিনের মধ্যে ব্যবস্থা হয়ে যাবে। সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি মোছাঃনিলুফা ইয়াসমিন বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইতি মধ্যে স্টিমেট প্রস্তুত করে পাঠানো হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com