রাজশাহীতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রদর্শিত ব্যানার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। (১২ আগস্ট) শুক্রবার বিকেলে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল করে নগর ও জেলা বিএনপি বিএনপি। বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় এ সব ব্যানার ছিড়া হয়। এ নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার ঘটনায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ নগরীতে ব্যানার ও ফেস্টুন সাটিয়েছিলেন। ব্যানার ফেস্টুনগুলোতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের ছবি ছিল। বিএনপির মিছিল থেকে সেগুলো ছিড়ে ফেলা হয়।ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল সাহেববাজার আরডিএ মার্কেট এলাকা অতিক্রম করার সময় কয়েকজন যুবক বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেন। এসময় তারা বঙ্গবন্ধুর ছবির উপর পা দিয়ে পিসে চলে যায়। তারা বঙ্গবন্ধর ব্যানার ফেস্টুন ছেড়ায় উল্লাস করতে দেখা যায়। পরে মিছিলটি ভূবন মোহন পার্কে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ।এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বিএনপি রাজশাহী নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। বিএনপির নেতা কর্মীরা সাহেববাজার, আরডিএ মার্কেট ও নিউ মার্কেটের সামনে সাটানো বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের সদস্যদের শোকের ছবিগুলো হাত দিয়ে ও বেøড মেরে ছিড়ে ফেলেছে। আমরা বিষয়টি আরএমপির পুলিশ কমিশনার জানিয়েছি এবং অনুরোধ করেছি ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিতে। আমরা প্রয়োজনে মামলা দায়ের করব। শোকের মাসের জন্য আমরা একটু থেমে আছি।

শোকের মাস শেষ হলেই আমরা এটি রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করব।এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ বলেন, মিছিল থেকে শোক দিবসের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরণের কাজ অন্যায়। যদি কেউ এ কাজ করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।আরএমপির পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন মামলা হয়নি। তবে আমার নিজেরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যারা জড়িত তাদের চিহিৃত করার চেষ্টা করছি বলে জানান।