যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সেই আয়াকে অব্যাহতি, তদন্ত কমিটি গঠন

মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সেই আয়াকে অব্যাহতি, তদন্ত কমিটি গঠন
apps

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের মাথা মায়ের পেটে আটকে থাকায় ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের নির্দেশে সোমবার সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রহিম মোড়লকে সভাপতি করে ৪ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে ,ঘটনার সাথে জড়িত স্বেচ্ছাসেবী আয়া মোমেনাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানিয়েছেন,স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন তদন্ত প্রতিবেদনের কপি তার কাছে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। এদিকে, পৈশাচিক এই ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগে ব্যাপক তোলপাড় চলছে।

হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির অন্যরা হলেন গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রবিউল ইসলাম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ ও উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক ফেদৌসি খানম। তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ডা. আরিফ আহমেদ জানান, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। খুবই গুরুত্বের সাথে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ঘটনার রাতে গাইনী ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সেবিকাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। তদন্ত বোর্ডের মাধ্যমে তাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন তত্ত্বাবধায়কের কাছে জমা দেয়া হবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোমবার থেকে সেচ্ছাসেবি আয়া মোমেনাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি আর কোন দিন হাসপাতালে কাজ করার সুযোগ পাবেন না। তিনি আরও জানান, ওই আয়া টাকা পাওয়ার লোভে এমন কাজটি করেছেন। এটা অবশ্যই দুঃখজনক। ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, ঘটনার সাথে ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সেবিকার অবহেলার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে তোলপাড় হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ফোন করে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি পাঠিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরই কপি সেখানে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য , শনিবার রাতে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার গাজীপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর স্ত্রী আন্না বেগমের গর্ভে থাকা ছেলে নবজাতকের দুই পা বেরিয়ে আসলে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত আয়া মোমেনা তাকে ওটিতে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক সেবিকার অনুপস্থিতিতে আয়া মোমেনা নবজাতকের দুই পা ধরে টানাটানি করার সময় গলা থেকে ছিড়ে চলে আসে। নবজাতকের মাথা গৃহবধূর পেটের মধ্যে থেকে যায়। রোববার ডিএনসির মাধ্যমে তার পেট থেকে মাথাটি বের করা হয়।

Development by: webnewsdesign.com