নরসিংদীর মনোহরদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আমিনুর রশিদ সুজনের উঠান বৈঠকে শিল্পমন্ত্রীর ছেলের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টায় মনোহরদী হিন্দু পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, এ হামলার ঘটনায় মেয়র প্রার্থী আমিনুর রশিদ সুজনের পক্ষের প্রায় ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। এসময় হামলাকারীরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মু.ফজলুল হকের প্রাইভেটকার ও ৭-৮টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।

শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী মনোহরদী পৌরসভা নির্বাচনে চারজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন করে যারা প্রত্যেকই মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

এসব প্রার্থীকে সমর্থন দিতে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আমিনুর রশিদ সুজনকে এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করেন মন্ত্রী পুত্র সাদী। কিন্তু মেয়র সুজন বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন সাদী।

বুধবার ১৩ জানুয়ারি রাতে মনোহরদী হিন্দুপাড়ায় পূর্ব নির্ধারিত উঠান বৈঠক ছিল আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আমিনুর রশিদ সুজনের। রাত ১০টার দিকে উঠান বৈঠক শেষ পর্যায়ে মন্ত্রী পুত্র মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীর নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বৈঠকে হামলা করা হয়। তাদের হামলায় আহত হন মেয়র সুজনের ছোট ভাই মামুন, বিটন, কর্মী তন্ময়, সাম্মীসহ কমপক্ষে ১০-১২জন।

এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মু. ফজলুল হকের প্রাইভেটকার ভাংচুর করে এবং উঠান বৈঠকে আগত নেতাকর্মীদের ৭-৮টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে মেয়র পক্ষের লোকজনের প্রতিরোধে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এ হামলা খবর পৌর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরের লোকজন মনোহরদী বাসষ্ট্যান্ডসহ প্রধান রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মন্ত্রীপুত্র সাদীসহ তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচিসহ পুরো মনোহরদী অবরুদ্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এই মুহুর্তে মনোহরদী পৌর শহর থমথমে রয়েছে।