মুখরিত ঐতিহ্যবাহী বউ মেলা

শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৪:২৫ অপরাহ্ণ

মুখরিত ঐতিহ্যবাহী বউ মেলা
apps

দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘বউ মেলা’। যেখানে নববধূ থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীরা কেনাকাটা করেন। এখানে বিক্রিও করেন তারা।
এ মেলা বসে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউপির পোড়াদহ গ্রামে। এখানে সকাল থেকেই গ্রামের নারীরা হরেক রকম জিনিস কিনতে আসেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে মেলাও মুখরিত হয়ে ওঠে।

ত্রিপল ও সামিয়ানা টাঙিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন দোকানিরা। মেয়েদের প্রসাধনী সামগ্রীই মেলার প্রধান উপজীব্য হলেও রয়েছে ছোটদের খেলনা সামগ্রী আর গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

স্থানীয় নারীরা জানান, মেলায় শুধু নারীরাই ক্রেতা, আবার অনেক দোকানে নারীরাই বিক্রেতা হওয়ায় নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ানো যাচ্ছে, কেনাকাটা করা যাচ্ছে।

মেলায় আসা সাদিকা, কেয়া, আঁখি ও সুইটি আক্তার জানান, তারা প্রতি বছর নিজেদের ব্যবহারের জন্য কসমেটিকস ও ইমিটেশনের গয়না কেনেন এ মেলায়। এবারো এসেছেন। তবে এবার দাম কিছুটা বেশি।

দোকানিরা জানান, মেলায় নারীরাই যেহেতু ক্রেতা, তাই প্রসাধনী সামগ্রীই সেখানে বিক্রি হয় বেশি। নারীদের প্রসাধনীর পাশাপাশি শিশুদের খেলনার বিক্রিও ভালো।

মেলার আয়োজক আমিনুল ইসলাম জানান, বউ মেলা উপলক্ষে এখানকার বাসিন্দাদের রেওয়াজ হয়ে উঠেছে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে খাওয়ানো। কিন্তু সেসব স্বজনের মধ্যে যেসব নারী আসেন, তারা মেলায় যেতে পারেন না বলে বিষয়টি খুবই পীড়াদায়ক ছিল। এ কারণেই মূলত বউ মেলার আয়োজন করা।

গাবতলী থানার ওসি সাবের রেজা আহমেদ জানান, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে বউ মেলা সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রতি বছর সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষে এ মেলা বসে। বিশাল আকৃতির মাছের জন্য বিখ্যাত এ মেলা উপলক্ষে আশপাশের ২০ গ্রামের বাড়িতে শুরু হয় উৎসব। প্রতিটি বাড়িতে নতুন বউ-জামাই যেমন আসেন, তেমনি পুরনো আত্মীয়স্বজনও বাদ পড়েন না। কিন্তু সেসব আত্মীয়র মধ্যে শুধু পুরুষরাই এ মেলায় যাওয়ার সুযোগ পান। নিরাপত্তা ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় মেলায় নারীরা ঢুকেতে পারেন না। এ অবস্থায় নারীদের নিয়ে ২০ বছর আগে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

Development by: webnewsdesign.com