ভোলার লালমোহনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বর্তমান চেয়ারম্যানের মামলা

বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২১ | ৯:১১ অপরাহ্ণ

ভোলার লালমোহনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বর্তমান চেয়ারম্যানের মামলা
বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একে এম নজরুল ইসলাম
apps

ভোলার লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, ফাইল আটক রেখে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ, ত্রাণ বিতরণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রভাব খাটিয়ে ফাইল আটক রেখে অর্থ আত্মসাতসহ অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে লালমোহন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একে এম নজরুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দূর্নীতির মামলা দায়ের করেছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জেলা দ্বায়রা জজ আদালত ও স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য বরিশাল দুর্নীতি দমন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর পাঠায় আদালত। মামলার বিবরণে বলা হয়, বিগত ২০০৯ সালে লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ একেএম নজরুল ইসলাম।

নির্বাচিত হওয়ার পর রেজিস্ট্রি স্কুল উন্নয়ন প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১২টি প্রকল্পের ফাইল আটক রেখে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৬০লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে ৪০ দিনের কর্মসূচির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ফাইল নিজের অধিনে নিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা টাকা ঘুষ নেন অধ্যক্ষ একেএম নজরুল ইসলাম।

চেয়ারম্যান থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজের ফাইল আটকে ৪২লক্ষ টাকা, ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবণ নির্মাণ কাজের ফাইল আটকে ৬লক্ষ টাকা, উপজেলা পরিষদ ভবণ নির্মার্ণেঅনিয়ম করে ১০লক্ষ টাকা, কাবিখা প্রকল্পে ২০ লক্ষ টাকা, আসবাবপত্র ক্রয়ে অনিয়মের মাধ্যমে ২০লক্ষ টাকা, ৩৬টি রুম বিক্রি করে টাকা আত্মসাত ও ২০১১ সালে ভোলা চরফ্যাশ মহাসড়কের রাস্তা পুননির্মাণ ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫০লক্ষ টাকা, লাঙ্গলখালী ব্রিজ নির্মাণে ৫লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ এবং যেসব ফাইলে নিজের স্বাক্ষর করার বিধান নেই সেগুলোকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে ক্ষমতা দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫%/৭% করে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

এছাড়াও নিজের সন্তান ও স্ত্রীসহ নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা রাখারও অভিযোগ তুলে ধরা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, অধ্যক্ষ একেএম নজরুল ইসলামের দুই ছেলে নুরুল ইসলাম প্রিন্স, হেদায়েতুুল ইসলাম ডিউক ও তার স্ত্রী আফিয়া বেগম। মামলায় জেলা পরিষদ সদস্য, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ঠিকাদারসহ মোট ১৭জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com