বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকায় বিবাহ নিবন্ধকের অফিসে পৃথক দুটি বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে বিবাহ রেজিস্টার কাজী আতাউল বারীসহ দুই অভিভাবককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসাব্বেরুল ইসলাম।

শুক্রবার রাতে পৃথক দুটি বাল্যবিয়ে ঘটনায় দন্ডপ্রাপ্ত বিবাহ রেজিস্টার কাজী ছাড়াও দুই অভিভাবকরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুল শিক্ষার্থীর পিতা কবির সর্দার (৪৫) ও অপর একটি বাল্যবিয়ের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলের পিতা বাগেরহাট শহরের গোবরদিয়া এলাকার সজিব হালদার (৪০)। কাজীসহ দন্ডপ্রাপ্ত দুই অভিভাবককে রাতেই বাগেরহাটে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসাব্বেরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার কাজী অফিসে দুটি বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাজী অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাট সদরের বেমতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের কবির সরদার তার স্কুল শিক্ষার্থী শিশু মেয়েকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবকের সাথে বিয়ে দিয়েছেন। বাগেরহাট শহরের গোবরদিয়া এলাকার সজীব হালদার তার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে একটি প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছেন।

পৃথক এই দুটি বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিবাহ রেজিস্টার কাজী আতাউল বারীসহ দুই অভিভাবককে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে রাতেই পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।