ভুয়া পরোয়ানায় ১১ দিন ধরে কারা ভোগ করা রিস্কা চালকের মুক্তি

রবিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২২ | ৫:৩১ অপরাহ্ণ

ভুয়া পরোয়ানায় ১১ দিন ধরে কারা ভোগ করা রিস্কা চালকের মুক্তি
apps

বিনা মামলায় ভুয়া পরোয়ানায় ১১ দিন ধরে কারাগারে থাকা ময়মনসিংহের সেই অটোরিকশা চালককে অব্যহতি দিয়েছেন বরগুনার আদালত। এর আগে গত ২০ জানুয়ারী গায়েবী মামলার ভুয়া পরোয়ানায় তাকে আটক করে ত্রিশাল থানা পুলিশ।

অটোরিকশা চালক বুলবুল ইসলাম বুলুর (৪০) বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের জামতলী গ্রামে। ৯ ভাইবোনের মধ্যে বুলবুল ইসলাম বুলু সবার বড়।

বুলুর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, সারাদিন অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালায় বুলু। গত ২০ জানুয়ারী সারাদিন রিকশা চালিয়ে বিকেলে বাড়ি সংলগ্ন কয়েকটি দোকানের সামনে বসে ছিল। এসময় ত্রিশাল থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে জানায় তার নামে বরগুনায় একটি অস্ত্র মামলা এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। তারপর বুলুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বুলুর স্বজনরা বরগুনা থানা ও আদালতে খোঁজ নেয়। কিন্তু সেখানে এধরনের কোন মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে বুলুর চাচাতো ভাই উজ্জল মিয়া বুলুর মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন করেন।

এরপর রবিবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে এ মামলার কোন অস্তিত্ব না থাকায় বুলুকে অব্যহতি দেয় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাসানুল ইসলাম।

অটোরিকশা চালক বুলুর চাচাতো ভাই উজ্জল মিয়া বলেন, আমার ভাই কখনও ময়মনসিংহের বাইরেও যায়নি৷ তবুও তাকে ষড়যন্ত্র করে ১১ দিন জেল খাটানো হয়। ত্রিশাল পুলিশ বিষয়টিকে যাচাই বাছাই না করেই আমার ভাইকে আটক করে। আজ আদালত কাগজপত্র দেখে বুলুকে অব্যহতি দেয়।

এবিষয়ে বুলবুল ইসলাম বুলুর আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, আমি আজ বরগুনা আদালতে বুলুর মুক্তির জন্য আবেদন করি। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ যাচাই বাছাই করে দেখেন ওয়ারেন্ট টি আসলেই ভুয়া, পরে সরাসরি তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয় আদালত। ২/১ দিনের মধ্যে মুক্তির আদেশ ময়মনসিংহের জেল সুপারের কাছে যাবে এবং বুলু মুক্তি পাবে।

Development by: webnewsdesign.com