বাগমারায় কলেজ শিক্ষককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ | ৮:৫৬ অপরাহ্ণ

বাগমারায় কলেজ শিক্ষককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
বাগমারায় কলেজ শিক্ষককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
apps

রাজশাহীর বাগমারায় আফজাল হোসেন (৪০) নামে এক কলেজ শিক্ষককে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। মারা যেতে পারে বলে কাদায় ফেলে রেখে পালিয়েছে হামলাকারীরা। ওই ঘটনায় আহত শিক্ষককের ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বাগমারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল গ্রামে। আহত আফজাল হোসেন মচমইল ডিগ্রী কলেজে চাকরী করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ মার্চ ২০২৩) দুপুর ১২ টার দিকে গভীর নলক‚পের পানি প্রবাহের ড্রেন গরু দিয়ে ভেঙ্গে ফেলছে। ড্রেন ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় কলেজ শিক্ষক আফজাল হোসেন বিবাদী আশরাফুল ইসলামকে নিষেধ করে। আফজাল হোসেন ওই গভীর নলক‚পের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ড্রেন ভেঙ্গে পানি যেন নষ্ট না যায় সে কারনে ড্রেনে গরু দিতে নিষেধ করে আশরাফুল ইসলামকে।

নিষেধ করার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে যায় দুই জন। ঘটনাটি আশরাফুল ইসলামের বাড়ির নিকটে হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যে তার পরিবারের সদস্যরা এসে হাজির হয় ঘটনাস্থলে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পাশের পান বরজ থেকে একটি বাঁশের লাঠি ভেঙ্গে এনে আফজাল হোসেনের মাথায় আঘাত করে। সে সময় আফজাল হোসেন মাটিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী তার পরনের কাপড় দিয়ে আফজাল হোসেনের গলা পেঁচিয়ে ধরে। ওই মুহুর্তে আশপাশে কেউ না থাকায় বেধরড় মারপিট করে তারা।

এদিকে দূর থেকে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে লোকজন ছুটে আসলে মারা যেতে পারে বলে আফজাল হোসেনকে ধান ক্ষেতের কাদায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন এসে মুমূর্ষু অবস্থায় কাদার ভেতর থেকে কলেজ শিক্ষক আফজাল হোসেনকে উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে ওই শিক্ষক। হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আফজাল হোসেনের মাথায় ৬টি সেলাই করতে হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে থেকে উভয় পরিবারের মাঝে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। পারিবারিক সেই দ্ব›েদ্বর ফলে আফজাল হোসেনকে একা পেয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। বছর দুয়েক আগে আফজালের বাড়ি অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটিয়ে তারা। এছাড়াও তুচ্ছু ঘটনার জের ধরে পাশের বাড়ির এক কৃষকের গরুর এক পা কেটে ফেলা সহ বিভিন্ন সময় মানুষের উপর হামলার অভিযোগও রয়েছে আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সর্বদায় গাজা সেবন এবং বিক্রয়ের সাথে জড়িত থাকারও অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। নেশার সাথে যুক্ত থাকায় সব সময় মানুষের সাথে তার দ্ব›দ্ব সংঘাত সৃষ্টি হয়। অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আশরাফুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক সেবনের ফলে সবার সাথে খারাপ আচরণ করে। আমার ভাইয়ের উপরে যে ভাবে হামলা চালানো হয়েছে তাতে করে ভাই মারা যেতে পারতো। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টিন্তমূলক শাস্তিদাবী করছি।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com