বরিশালে মাস্কের সঠিক নিয়ম মানছে না বেশিরভাগ মানুষ

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২১ | ২:২৪ অপরাহ্ণ

বরিশালে মাস্কের সঠিক নিয়ম মানছে না বেশিরভাগ মানুষ
apps

বরিশালে প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে সচেতনতা দেখা গেলেও শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে তাদের মধ্যে নেই তেমন কোন সচেতনতা। অধিকাংশ মানুষের সঙ্গে মাস্ক দেখা গেলেও কেউ কেউ তা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করছেন না। কেউবা মুখের থুতনিতে লাগিয়ে রেখেছেন আবার কেউ পকেটে রেখেছেন কোন ঝামেলা এড়াতে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে নগরীর রূপাতলী এলাকায় অফিসগামী যাত্রীদের যথেষ্ট ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এসব পরিবহনে যাত্রীদের পাশাপাশি হেলপারদের মুখেও ছিল না মাস্ক।

বাবুল হাওলাদার নামে একজন হেলপার বলেন, ‘সকালে অফিস শুরুর আগে এবং বিকালে অফিস শেষ হওয়ার পরে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। তখন মানুষ কোনও নিয়ম মানতে চায় না। আমরা চেষ্টা করেও তাদের মানাতে পারি না। উল্টো আমাদের বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে হয়।’

কথা হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে। এ সময় তার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। মাস্ক মুখ থেকে সরিয়ে দাড়ির ওপরে রেখেছেন। সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে অনেকক্ষণ রাখতে রাখতে হাঁপিয়ে ওঠার কারণে কিছু সময় এভাবে রেখেছি।’

নগরী হাতেম আলি চৌমাথা এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায়নি। তারা বলেন, ১০ টাকার কমে একটি মাস্ক পাওয়া যায় না। কয়েক ঘণ্টা ব্যবহারের পর তা ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি করে মাস্ক লাগে। এই পরিমাণ টাকা তাদের জন্য জোগাড় করা কষ্টকর।

বাঙলা বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অধিকাংশই পরছেন না মাস্ক। কাঁচাবাজারে দেখা যায়, কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও নাক ও মুখ না ঢেকে নিচে নামিয়ে রেখেছেন। আর অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের মুখে একদমই মাস্ক নেই। নগরীর অনেক জায়গায় মাস্ক বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের ঠিকমত মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।

নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় রহিম মিয়া নামে এক রিকশা চালক বলেন, ‘মাস্ক পরে রিকশা চলাতে কষ্ট হয়। শ্বাস নেওয়া যায় না। হাঁপিয়ে উঠি। ঘামে ভিজে যায়। আমাদের প্রতিদিন দুই তিনটা মাস্ক কিনে পরা কঠিন।’

Development by: webnewsdesign.com