নড়াইলে মুরগির ফার্মের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে প্রান গেলো ঘর মিস্ত্রির।

বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২ | ৮:০৬ অপরাহ্ণ

নড়াইলে মুরগির ফার্মের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে প্রান গেলো ঘর মিস্ত্রির।
apps

নড়াইলের ছাতরা গ্রামে মুরগির ফার্মে কাজ করতে গিয়ে অবৈধ বিদুৎ সংযোগের কারণে প্রান গেলো ঘর মিস্ত্রি কাজল সিকদার(৫৫) এর। লোহাগড়ার জয়পুর নারানদিয়া গ্রামের হরেন্দ্রনাথ সিকদারের ছেলে কাজল সিকদার পেশায় সে একজন ঘর মিস্ত্রি ছিলেন, ১৬ মার্চ বুধবার সকাল ৯টার দিকে পাশের ছাতড়া গ্রামে বাতেন মোল্ল্যার ছেলে রাজিব মোল্ল্যার মুরগীর ফার্মে ঘর মিস্ত্রির কাজ করতে যায় কাজল সহ আরও ৪ জন, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,প্রতিদিন ওই মুরগির ফার্মে বনবিড়াল,ও শিয়াল মারার জন্য আগে থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখে ফার্ম মালিক রাজিব,কিন্তু সকাল ৯টা বাজলে ওই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করেন নাই মুরগির ফার্মের মালিক রাজিব। কাজল ও মিস্ত্রিরা মিলে ঘরের কাজ করার সময় বিদ্যুৎ বন্ধ নেই জানতেন না মিস্ত্রিরা, কাজ করতে যেয়ে টিন মাথায় করে যাওয়ার সময় বিদ্যুতের তারে টিনে সংযোগ হয়ে গেলে কাজল নিচে পড়ে যায়, এসময় অন্য মিস্ত্রিরা কাজলকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় মৃত কাজলের ছেলে জয় সিকদার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা নিজেরা মিমাংসা করার জন্য বসতেছি।

এসময় মৃত কাজলের নিকটতম অমার বিশ্বাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন,ও এলাকার মেম্বার ফমিভিশন বিশ্বাস, থেকে থানা পুলিশ বাদে ২ লক্ষ টাকায় মিমাংসা হয়েছে।

এবিষয়ে জয়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ওখানে যাওয়ার আগে টাকার মিমাংসা হয়েগেছে, দুই গ্রুপের মাতুব্বর ও রাজিব এর বড় ভাই বাশার থেকে,আমি তাই শুনেছি।

মেম্বার ফমিভিশন বিশ্বাস এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এরা গরিব মানুষ,তাই মামলার দিকে না যেয়ে ২ লক্ষ টাকায় মিমাংসা হয়েছে।
এবিষয়ে মুরগির ফার্মের মালিক রাজিব মোল্ল্যার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নাই,এরপরে তার বাড়িতে গিয়ে মোবাইল নাম্বারে ০১৪০৮৪০২৯৪৫ ফোন করলে নাম্বার টা বন্ধ পাওয়া গেছে।

মুরগির ফার্মের মালিক রাজিব মোল্ল্যার বড় ভাই বাশার মোল্ল্যার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রথমে টাকার বিষয় টা অস্বীকার করেন,পরে আবার বলেন কাজল গরিব মানুষ তার দুই টা ছেলে আছে, তাই আমরা ওদের কিছু টাকা দিতে চেয়েছি, লাশ ময়নাতদন্তের পরে বাড়িতে এনে আমরা ওই বিষয়ে বসবো। এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি, এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছি,এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।কাজলের এর মৃত্যুতে পরিবার সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Development by: webnewsdesign.com