নোয়াখালী নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কলেজের ৯১জন শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আক্রান্ত হয়েছে।শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই শ্রেণি কক্ষে ক্লাস নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।তবে এর পরিবর্তে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানিয়েছেন, গত সোমবার থেকে জেলার নোয়াখালী নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কলেজের ৯১জন শিক্ষার্থী করোনার আক্রান্ত হয়েছেন।একজন শনাক্ত হওয়ার পরই সবার করোনা টেস্ট করালে আরো ৯০ জন শিক্ষার্থীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনস্ট্রাক্টর (ইনচার্জ) খালেদা খানম জানান, গত ৩ জানুয়ারি থেকে ৭ দিনের ছুটি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে যায়।ছুটি শেষে বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজে ফিরলে গত সোমবার আমি তাদের ক্লাসে যাই।ক্লাসে যাওয়ার পর দেখি কয়েক জন ছাত্রী কাশি দিচ্ছে। তখন আমি তাদেরকে বললাম তোমাদের কাশি দেখতেছি। কারো কি জ্বর আছে বা গলা ব্যাথা এমন কিছু আছে।তখন একজন শিক্ষার্থী আমাকে জানায় তার প্রচন্ড গলা ব্যাথা,জ্বরও আছে,আরো একজন জানায় তার দুই দিন থেকে জ্বর।বাকী শিক্ষার্থীরা জানায় তাদের কাশি আছে।তবে এছাড়া তেমন কোন সমস্যা নেই।তাৎক্ষণিক আমি দুইজন শিক্ষার্থীকে করোনা টেস্ট দেওয়ার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠাই।ওই দুইজনের মধ্যে একজনের করোনা পজেটিভ আসে।এর পরের দিন আরো ৫৫ জন শিক্ষার্থী নমুনা পরীক্ষা দিলে তাদের মধ্যে ১১ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এরপর বুধবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের কর্মকর্তারা কলেজে এসে বাকী শিক্ষার্থীদের নমুনা নিয়ে যায়।বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে জানানো হয় আরো ৮০ জন শিক্ষার্থীর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
ইনচার্জ খালেদা খানম জানান, করোনায় আক্রান্ত ৯১জন শিক্ষার্থীর ৮-১০জন শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে গেছে।এখনো ৮০ শিক্ষার্থী কলেজের হোস্টেলে অবস্থান করছে।আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স,ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এ দুটি ব্যাচের প্রথম বর্ষের ২৮ জন,দ্বিতীয় বর্ষের ৪০ ও তৃতীয় বর্ষের ২৩ জন শিক্ষার্থী।আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের শরীরে করোনার কিছু লক্ষণ থাকলেও সবাই এখন অনেকটা ভালো আছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন বাড়িতে এবং ৮০ জন শিক্ষার্থী কলেজ হোস্টেলে হোমকোয়ান্টাইনে রয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com