প্রকৃত নাম হাবিবুর রহমান। হত্যা মামলায় জামিন পেয়ে নাম পরিবর্তন করে মো. রাকিব উল হাসান নামে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। রাজধানীতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আউটসোর্সিং পিয়ন হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাটিয়েছেন ১৮ বছর। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
হোমনার মাটিকাটা শ্রমিক স্বপন মিয়া হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমানকে (৪৫) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি হোমনা উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামে। কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. আবদুর রহিম।
তিনি বলেন, ২০০২ সালের ২৮ মার্চ হোমনার মুন্সিকান্দি গ্রামের স্বপন মিয়া খুন হন। ২০০৬ সালের ১৫ মে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত হাবিবুর রহমানসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। মামলা করার পরদিনই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২ নম্বর আসামি হাবিবুর রহমান। দুই বছর হাজতবাস শেষে তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এসব প্রতারণার বিষয় স্বীকার করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম ঠিক রেখে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আউটসোর্সিং পিয়ন পদে চাকরি নেন দুই বছর আগে।
Development by: webnewsdesign.com