নাগরপুরে ৩ জনের আত্মহত্যা

রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২০ | ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

নাগরপুরে ৩ জনের আত্মহত্যা
apps

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় আত্মহত্যা করেছে ৩ জন। এদের মধ্যে দুই জন গৃহিনী ও অপর জন ১০ম শ্রেনীর ছাত্র।

নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের দিরাজ মিয়ার মেয়ে সুমি (১৮) শুক্রবার ১০ জানুয়ারী সকাল আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুমির বিয়ে হয়েছিল প্রায় ৫ মাস আগে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের সাতগাছা গ্রামের রাজু’র সাথে। সুমি স্বামী সহ মামার বাড়ি উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জ্বালাই গ্রামে বেড়াতে গিয়ে ফাঁশ নিয়ে বলে জানা যায়।

গৃহিনীদের আত্মহত্যার ঘটনায় মৃত দুজনই প্রায় সমবয়সী কিশোর বা প্রায় যুবতী। এদের মধ্যে সহবতপুর ইউনিয়নের চৌধুরী ডাঙ্গা গ্রামের বিদেশীর মেয়ে সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রোকছানার বিয়ে হয়েছিল ভাড়রা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলের সাথে প্রায় চার মাস আগে। রোকছানা সন্ধ্যা শুক্রবার ৫.৪৫ মনিটের সময় গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁস নেয় বলে জানা যায়।

অপর দিকে মোবাইল ফোন কেনার বায়না ধরে নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান এর ছেলে ইমরান (১৬) আত্মহত্যা করেছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইমরান স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য দীর্ঘ দিন যাবৎ তার পিতা-মাতাকে চাপ দিয়ে আসছিল।

পরিবার অপ্রাপ্তবস্ক ছেলের আবদার মেটাতে সমর্থ না করায়, ছেলে ইমরান গতকাল শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২০ বিকেলে ইঁদুর মারার গ্যাস ট্যাবলেট খায়।

পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে বিকেল ৪.৪৫ মিনিটের সময় নাগরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানেও তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায়, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ইমরানকে ঢাকা নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

এ সকল মৃত্যুর বিষয়ে নাগরপুর থানার ওসি(তদন্ত)গোলাম মোস্তফা মন্ডল জানান, প্রাথমিকভাবে এসব মৃত্যু আত্মহত্যা বলে ধারনা করা হচ্ছে।তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।

Development by: webnewsdesign.com