নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মহিলাসহ ৩ জন আহত

রবিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২২ | ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মহিলাসহ ৩ জন আহত
apps

নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত মিলন আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যান্যদের লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের গত ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চর-বগজুড়ি গ্রামের মৃত রতন আলীর ছেলে মিলন আলী তার বাড়ীর পার্শ্বে ক্ষেতে কাজ করছিল।

এ সময় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সুরুজ মোল্যার নেতৃত্বে রিপন, ইকবাল,রাসেল,সোহাস, আলামিন, ইমরান, মাসুম , ওসেলিম ও মহিলাসহ ১০/১৫ জন রামদা, হকি স্টিক,হাতুড়ী নিয়ে মিলন আলীকে ধাওয়া করে। এসময় মিলন আলী প্রানে বাচার জন্য দৌড়ে পার্শ্বে মিন্টু আলীর বাড়ীর ঘরের মধ্যে আশ্রয় নেয়। পিছন দিক থেকে ওই সন্ত্রাসীরা মিন্টু আলীর ঘরের মধ্যে ঢুকে খাটের নিচ থেকে মিলন আলীকে(২৮) টেনে হেচড়ে বের করে এনে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে ।

এসময় মিলন আলীর চিৎকারে বাড়ীর মালিক মিন্টু আলীর স্ত্রী পারভিন সুলতানা(৩৫) ঠেকাতে গেলে ওই সন্ত্রসীরা পারভিন সুলতানা ও তার ছেলে মেহেদী হাসান(১০)কে পিটেিয় মারাত্বক আহত করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে আহত মিলন আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।

লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি আহত পারভিন সুলতানা বলেন, আমি ও আমার দেবর মিলন আলী বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমিন খন্দকারের পক্ষে কাজ না করায় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের মারপিট করে বাড়ীঘর ভাংচুর করেছে এবং আমার দেবর মিলন আলীকে এলোপাতাড়ী কুপিয়েছে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ খালিদ সাইফুল্লাহ বিলাল বলেন, আহত মিলন আলীর মাথায় ও পায়ে মারাত্বক ইঞ্জুরী হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরর করা হয়েছে।

বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমিন খন্দকার বলেন, আমি মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে ও হাসাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম। উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নাজমিন খন্দকার ও বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল শিকদার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নাজমিন খন্দকার বিজয়ী হন।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ঘটনা শুনেছি, তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে

Development by: webnewsdesign.com