ধরা-বাঁধা নিয়মের গণ্ডিতে আটকে থাকে না ভালবাসা

বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ৬:৪২ অপরাহ্ণ

ধরা-বাঁধা নিয়মের গণ্ডিতে আটকে থাকে না ভালবাসা
apps

মিয়া বিবি রাজি তো ক্যায়া করেগা কাজী। আজ নয়, বহু যুগ ধরে এটাই সকলে জানে ভালবাসা কোনও ধরা বাঁধা নিয়মের গণ্ডিতে আটকে থাকে না। মনের মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত যেতে রাজি প্রেমিক প্রেমিকা- এরকম উদাহরণ বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
কিন্তু যেখানে ভালবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবার, সেখানে সমস্যা অনেকটাই গভীরে চলে যায়। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের হুগলিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশি মধ্যস্থতায় ভালবাসার জয় হল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভদ্রেশ্বর তাঁতিপাড়ার রাহুল বিশ্বাস ও চন্দননগর বাদামতলার বাসিন্দা প্রথম বর্ষের ছাত্রী রিংকি রায়ের মধ্যেই গত এক বছর ধরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দু’জনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দু’জনের এই ভালবাসার ক্ষেত্রে বেঁকে বসে দুই পরিবার। পাত্রীর মা শর্মিলা বসন্ত রায় বিয়েতে অমতের কারণ পাত্রের পরিবার নাকি বলেছে ‘হিন্দুস্থানি মেয়ে’কে ঘরের বউ করে ঘরে তুলবে না। ব্যস আর যায় কোথায়।

সম্প্রতি শাশুড়ি হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন সংকটজনক অবস্থায় হবু জামাই তাকে রক্ত দিয়েছিলেন। তাই ক্ষণিকের জন্য হলেও বরফ গলেছিল। কিন্তু ছেলের পরিবারের এ হেন কথায় রুখে দাঁড়ায় মেয়ের মা। শেষ পর্যন্ত দুই পরিবারই সমস্যার সমাধানে চন্দননগর থানার দ্বারস্থ হন।

অন্যদিকে প্রথমে ‘হিন্দুস্থানি মেয়ে’ বলে আপত্তি থাকলেও পরে ছেলের কথা ভেবে মা রেখা বিশ্বাসের মত বদল হয়। তিনি ছেলের সঙ্গে রিংকির বিয়ে দিতে রাজি হন। কিন্তু পাত্রীর মা মানতে নারাজ। শুরু হয়ে যায় দুই পরিবারের মধ্যে বচসা।
শেষ পর্যন্ত চন্দননগর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই পরিবারই এই সম্পর্ক মেনে নিয়ে বিয়েতে রাজি হয়। রিংকি ও রাহুলের ভালবাসার জয় হয়। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Development by: webnewsdesign.com