ঢাকা-সিলেট চারলেন নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর করা হবে। এ খাতে ব্যয় বাড়লো ৪ হাজার ৮৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। নতুন করে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৭ হাজার ৯৭৫ কোটি ৩১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বাড়লো ৪ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।
এটাসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৮ হাজার ৮০৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৫১৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন।
মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ নাগাদ বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ ছিল। পরে ব্যয় বৃদ্ধি ডিসেম্বর ২০২১ মেয়াদ বাড়ানো হয়। ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ নতুন করে ডিসেম্বর ২০২৩ নাগাদ বৃদ্ধি করা হয়। প্রকল্প এলাকা: নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৬ লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর করা। প্রধান কার্যক্রমসমূহ: ১ হাজার ৩৭৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ইউটিলিটি স্থানান্তর, ১ হাজার ৮২৩ জনমাস পরামর্শক সেবা ক্রয় এবং ৩ হাজার ২৪৭টি সীমানা পিলার নির্মাণ।
প্রকল সংশোধনের কারণ: নতুন ভূমি অধিগ্রহণ নীতিমালা এবং সড়কের অ্যালাইনমেন্ট সংশোধনের কারণে ভূমির পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, ইউটিলিটি স্থানান্তর অঙ্গে ব্যয় বৃদ্ধি। ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর পরামর্শক সেবাখাতে জনমাস ও ব্যয় বৃদ্ধি (ঘ) সীমানা পিলার নির্মাণ অঙ্গ নতুন করে অন্তর্ভুক্তি, প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ২ বছর বৃদ্ধি।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত: প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে সিলেটের তামাবিল পর্যন্ত ২৬৫ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ সহজতর হবে।
Development by: webnewsdesign.com