চিরনিদ্রায় দাদা-দাদির পাশে শায়িত হাদিসুর

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২ | ১:৩৫ অপরাহ্ণ

চিরনিদ্রায় দাদা-দাদির পাশে শায়িত হাদিসুর
apps

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে হাদিসুরের লাশ বরগুনার বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এদিন সকাল ১০টার দিকে কদমতলা গ্রামে হাদিসুরের বাড়ির পাশের মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় মানুষের ঢল নামে। জানাজায় ইমামতি করেন বেতাগী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জিয়াউল হক।

এ সময় বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্রনাথ দেবনাথ শম্ভু, বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, ইউএনও মো. সুহৃদ সালেহীন, পৌর মেয়র এবিএম গোলাম কবির, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মহা ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ানসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে,গতকাল সোমবার দুপুরে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লাশ গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ নিয়ে হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা। রাতে স্বজনরা তার লাশ নিয়ে বরগুনার বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে পৌঁছান।

লাশ পৌঁছানোর পর সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। লাশ দেখে আর্তনাদ আর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। তার মা রাশিদা বেগম, বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও ভাই তরিকুল ইসলাম লাশ দেখে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে হাদিসুরকে শেষবারের মতো দেখতে তার বাড়িতে স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাদিসুরের এই মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে হাদিসুর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা আব্দুর রাজ্জাক অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক,মা রাশিদা বেগম গৃহিণী। বড় বোন সানজিদা আক্তার পেশায় নার্স। ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স ঢাকায় লেখাপড়া করেন। মেজো ভাই তরিকুল ইসলাম থাকেন পটুয়াখালীতে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।

Development by: webnewsdesign.com