কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ১০ নং উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দৌড়ঝাঁপ করা সেই ৭১’র মুজাহিদ ক্যাম্পের নজরুল রাজাকারের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকী এবার মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন উজানগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ ছিনিয়ে নিতে। অবশেষে সভাপতি পদ না পেয়ে এলাকায় সহিংসতা সৃষ্টি শুরু করছেন।
গত ১৮ তারিখ মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা অফিসে উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ভোটের মাধ্যমে সভাপতি পদে বদরুল আলম আন্টু নির্বাচিত হলে বক্করের সশস্ত্র বাহিনী সঙ্গে নিয়ে উপজেলা অফিসেই প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন এবং দুই জন শিক্ষককে কিডন্যাপ করে নিয়ে চলে যান। পরে তাদেরকে বিত্তিপাড়া বাজারে ছেড়ে দেয়া হয় বলে বর্তমান সভাপতি জানান। ঠিক ওই সময়ে কুষ্টিয়া মডেল ফোর্স হাজির হলে দ্রুত গতিতে তারা ওখান থেকে পালিয়ে যায়।
উপজেলা অফিস থেকে এসে সন্ধ্যা ৬টার সময় বিত্তিপাড়া বাজারে তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথমে হামলা করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আক্কাসের ছোট ভাই সার ব্যবসায়ী ইকলাসের উপর। ওই সময় ইকলাসের দোকান ভাঙচুর সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করেন ইকলাস ও খয়ের পুর গ্রামের খালেককে। খালেকের মাথায় সজোরে বাকি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে এলাকাবাসী তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। ওই সময় দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা নগদ তিন লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।
ইকলাস প্রতিবেদককে জানান, রাজাকারপুত্র বক্করের তিন ছেলে সোহাগ, সৌরভ, সোহান, গাজনবীপুরের জুয়েল, শাজাহান মেম্বার, শাহীন সহ ১৫/১৫ জনের বাহিনী আমার উপর হামলা করে। স্কুলের সভাপতি বদরুল আলম আন্টু বলেন, তারা ইকলাসের দোকান ভাঙচুর ও অর্থ লুটপাট মারধর করে ক্ষান্ত না হয়ে রাতের আধারে চলে যান গজনবীপুর গ্রামে। সেখানে গিয়ে হাসমতের এক ছেলেকে মেরে পা ভেঙে দিয়েছে আরেকজনকে মেরে কালশিরা জখম করেছে। ওই গ্রামের আতিয়ারের ৮টি গরু ও ৭টি ছাগল লুট করে নিয়ে যায় এবং একাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিকী কে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং ২২/২০২২।
উল্লেখ্য যে রাজাকারপুত্র আবুবকর সিদ্দিকের নামে ইতিপূর্বে কুষ্টিয়া বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে নাশকতার মামলা রয়েছে যার নং ১৩/২০২১, আরেকটি রয়েছে মার্ডার মামলা যার নং ১৫৩/২০২০। এছাড়াও এলাকা সূত্রে জানা যায়, বক্করের পিতার ৩/৪টি বউ ছিল তারও রয়েছে ২/৩ বউ। গাভী সহ বিয়ে করেছেন তিনি। তার তিন সন্তানকে দিয়ে বিত্তিপাড়া বাজারে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা ইয়াবার ব্যবসা করে এলাকা নষ্ট করে ফেলেছে।
ইতিপূর্বে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য নেয়া হলে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের পর বিত্তিপাড়া, উজানগ্রাম, গজনবীপুর এলাকায় রক্তের বন্যায় ভাসবে । নতুন করে তার পিতার মত আরেকটি বধ্যভূমি রচিত করতে যাচ্ছে হাইব্রিড নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকী। এলাকাবাসী বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিকীর এসকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রুখতে তাকে জরুরী ভিত্তিতে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।
Development by: webnewsdesign.com