কাজিপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় – বাড়ছে নদী ভাংগন

শনিবার, ২১ মে ২০২২ | ৯:৪২ অপরাহ্ণ

কাজিপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় – বাড়ছে নদী ভাংগন
apps

সিরাজগঞ্চের কাজিপুর উপজেলার গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীতে স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর এ কারণে কাজিপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন।বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র নাটুয়ারপাড়া রক্ষাবাঁধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এরফলে বাঁধের আশে পাশের প্রায় দুই হাজার একর জমি যমুনায় বিলীন হবার উপক্রম হয়েছে। ওই বাঁধে থাকা বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শনিবার(২১ মে) সকালে ভাঙন কবলিত নাটুয়ারপাড়া রক্ষাবাঁধে গিয়ে দেখা গেছে বাধের উভয় পাশেই ভাঙছে। ভাঙন ঠেকাতে সিরাজগঞ্জ পাউবো’র দুইজন ঠিকাদার জিওব্যাগে বালি ভরে ভাঙন স্থানে ফেলছে। তীব্র স্রোতে মুহূর্তেই সেই বস্তা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে করে ভাঙন পুরোপুরি থামানো যাচ্ছে না।

ওই বাধে ভাঙন ঠেকানোর কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মেসার্স সরকার ফার্ম এর প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ ওরফে পরান সরকার জানান, নাটুয়ারপাড়াকে রক্ষায় নদীর দিকে পূর্ব পশ্চিমে লম্বা বাধের আমি দক্ষিনাংশে জিওব্যাগ ফেলছি। গত কয়েকদিন যাবৎ কাজ করছি। কিন্তু এখন পানি বাড়তে থাকায় ভাঙন বাড়ছে।

সিরাজগঞ্জ পাউবো’র উপসহকারি প্রকৌশলী হায়দার আলী জানান, নাটুযারপাড়ার ওই বাধটি রক্ষায় আমরা ইতোমধ্যে আট হাজার বস্তা ফেলেছি। আবারো ভাঙন দেখা দেয়ায় আজকে দুই হাজার বস্তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামীকাল(২২ মে) থেকে বস্তাগুলো বাঁধের গোড়ায় ডাম্পিং করা হবে।

কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী জানান, গত কয়েক দিন আগে বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। বাঁধটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পরামর্শ দিয়েছি, তারা কাজ করছে। সেইসাথে আমাদের এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় সাহেব সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ব্যক্তিগভাবে এই বাঁধ রক্ষায় তিরি বরাদ্দ দিয়েছেন।’

এদিকে পানি বাড়তে থাকায় ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে চরাঞ্চরের ডিক্রি তেকানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজলগ্রাম সরকারি প্রাথিমিক বিদ্যালয়, ডগলাস ভেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন চর জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাটুয়াপাড়া রক্ষা বাঁধ ভাংগনের ঝুঁকিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

Development by: webnewsdesign.com