কাজিপুরে বন্যায় সাড়ে তের হাজার কৃষকের স্বপ্ন পুরুন অনিশ্চিত

বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৬:৫৯ অপরাহ্ণ

কাজিপুরে বন্যায় সাড়ে তের হাজার কৃষকের স্বপ্ন পুরুন অনিশ্চিত
apps

কাজিপুরে সম্প্রতি বন্যায় কবলে চরাঞ্চলের কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সোয়া বিশ কোটি টাকা। গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কৃষকেরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে রোপা আমনের চাষ করেছিলেন। কিন্তু এবারও বন্যার ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের হতাশা আরও বেড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, কাজিপুরে যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত ছয়টি ইউনিয়নসহ ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫০ হাজার কৃষক এবার মোট ১১ হাজার চারশ পয়ষট্টি হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছিলেন। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ২০ হেক্টর, উফসী জাতের ৯ হাজার পাঁচশ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের চাষ হচ্ছে ১ হাজার নয়শ পয়তাল্লিশ হেক্টর।

এতে করে এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ২৯ হাজার সাতশ ৪৭ মেট্রিক টন। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের চাষ হয়েছিলো ৭৮ মেট্রিকটন, উফসী ২৬ হাজার সাতশ নব্বই মেট্রিকটন এবং স্থানীয় জাতের ২ হাজার আটশ উনআশি মেট্রিকটন।

সময়মতো বৃষ্টি ও আর সঠিক পরিচর্যায় অতি দ্রত ধানের চারা বেড়েও উঠেছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক বন্যায় এই ফসলের অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির শিকার হয়েছেন চরাঞ্চলের মোট ১৩ হাজার ৩৭১ জন কৃষক।

রোপা আমন বীজতলা ক্ষতি হয়েছে ৩০ হেক্টর, রোপা আমন ২ হাজার ৫২০ হেক্টর, শাকসব্জি ১৫ হেক্টর, এবং কলার ক্ষেত ৩ হেক্টর।
কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকগণ।

তাদের অনেকের আগাম লাগানো আধাপাকা ধানও পানিতে নিমজ্জিত হবার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্যে মাসকলাইয়ের বীজ সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে সাড়ে নয়শ কৃষক সরকারি প্রণোদনা পাবেন। কিন্তু এখনও বিভাজন দেয়া হয়নি। এ মুহূর্তে তাদের কে প্রণোদনাসহায়তা দেওয়া দরকার।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, প্রকৃতির সাথে লড়াই করে আমাদের কৃষকদের বাঁচতে হয়।প্রাকৃতিক দুর্যোগমোকাবেলা করা কঠিন। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কৃষকের পাশে রয়েছি।

তাদের জন্যে সরকারি সহায়তাও আসছে। সামনে মাসকলাই, সরিষা চাষের জন্যে কৃষকদের পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছি। #

Development by: webnewsdesign.com