কাজিপুরে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্ৰহ লক্ষমাত্রা অর্জনে অনিশ্চিতা; বাজার দামের চেয়ে কম হওয়ায় কৃষকরা অনাগ্রহী

শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ৯:১৭ অপরাহ্ণ

কাজিপুরে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্ৰহ লক্ষমাত্রা অর্জনে অনিশ্চিতা; বাজার দামের চেয়ে কম হওয়ায় কৃষকরা অনাগ্রহী
কাজিপুরে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্ৰহ লক্ষমাত্রা অর্জনে অনিশ্চিতা; বাজার দামের চেয়ে কম হওয়ায় কৃষকরা অনাগ্রহী
apps

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে চলতি২০২২-২৩ অর্থ বছরে রোপা আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ শুকনো ধান ও সিদ্ধ চাল সংগ্রহ সরকারি কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বাজারের তুলনায় দাম কম হওয়ায় সরকারি দামে ধান-চাল সরবরাহ করতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়ছেন কৃষক ও মিলমালিকরা। এ কারণে তারা সরকারি খাদ্যগুদামে আমন ধান ও চাল সরবরাহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এতে সরকারের আমন সংগ্রহ অভিযানের সাফল্য নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায়।
বর্তমান বাজার মূল্যের তুলনায় কম মূল্য নির্ধারণ প্রধান অন্তরায় মনে করছেন কৃষক ও মিলাররা।

কাজিপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কাজিপুরে আমন ধান সংগ্রহের প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সিদ্ধ চাল কেজি প্রতি ৪২ টাকা দরে ৫৩৩ মেট্রিকটন এবং শুকনো ধান কেজি প্রতি ২৮ টাকা দরে ৫৯৪ মেট্রিকটন। যা বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা কম। উপজেলার মোট ৩০ টি চালকের মধ্যে ২৫ টি চালকল গত ৮ ডিসেম্বর ৩৮৩ মেট্রিকটন চাল সরবরাহ চুক্তি করেছে। ধান সরবরাহের কোন চুক্তি হয়নি। অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকলেও এখন পর্যন্ত সারা মেলেনি।

কাজিপুর উপজেলা চালকল সমিতির সভাপতি আঃ রাজ্জাক বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা কম দামে ধান চাল সরবরাহ নিশ্চিত লোকসান হবে, তবুও ব্যবসা করি বলে চুক্তি করেছি। একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আঃ সাত্তারসহ অন্যান্য মিলারদের বক্তব্য একই রকম। কাজিপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম অফিসার ইনচার্জ পলাশ কুমার সূত্রধর বলেন, “গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এমপি সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।কাজিপুরে ধান লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন ৫৯৪ মেট্রিকটন হলেও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ২০০ কেজি ধান এবং চাল ১৫০ মেট্রিকটন ।বাজার মূল্যের চেয়ে ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকদের অনাগ্রহ।

আগামী জানুয়ারি ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে, তবে প্রয়োজনে এর সময়সীমা আরও বাড়তে পারে।” উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ শেষে মিলাররা অতিরিক্ত সরবরাহ দিতে পারবে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত।

Development by: webnewsdesign.com