কক্সবাজারের রামুতে বৈদ্যুতিক শক ও গুলি করে বন্য হাতি হত্যা

সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০ | ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের রামুতে বৈদ্যুতিক শক ও গুলি করে বন্য হাতি হত্যা
apps

কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের শাইরার ঘোনা নামক এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। হাতিটিকে বৈদ্যুতিক শক ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমান মিলেছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। কৃত্রিম সংকট উত্তরণ করা না গেলে পাহাড় গুলোতে শিগগির বন্য প্রাণী শূন্যের আশংকা পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের।

বন বিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান রাতেই রামু উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. জুলকার নায়েক এর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে বৈদ্যুতিক শক ও পায়ে গুলির করে মারা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হাতিটির ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনা স্থলে মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে।

রেঞ্জ কর্মকর্তা আরাও জানান, হাতিটিকে যে বনের পাশে হত্যা করা হয়েছে সেটি স্থানীয়দের ফসলি জমি। তার আদূরে বসতবাড়ি গুলোতে বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ফাঁদ পেতে হাতিটিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত করে এঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তবে স্থানীয়দের দাবী, পাহাড় গুলোতে খাবার সংকটের কারণে বিভিন্ন সময় হাতির পাল চাষাবাদের জমি ও লোকালয়ে হানা দিয়ে থাকে।

এদিকে, জেলার পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের দাবী, উখিয়া-টেকনাফের ১০ হাজার একর গভীর বনাঞ্চলে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করেছে। ফলে বন্য প্রাণীদের খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে এবং সংকুচিত হয়ে এসেছে তাদের বিচরণ ক্ষেত্র। এছাড়াও কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৬০টির অধিক হাতির অন্তত ২৩টি অবাধ নিরাপদ চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। জরুরী ভিত্তিতে এসব বন্য প্রাণীদের অবাধ বিচরন ও চলাচলের পথ সৃষ্টি করা না গেলে অবশিষ্ট বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হতে বেশী দিন সময় লাগবেনা।

প্রসঙ্গত, রোববার সকালে বন বিভাগের কাছে শাইরার ঘোনা নামক এলাকায় মৃত হাতিটির সন্ধান মিলে। সে সময় প্রাথমিক ভাবে মৃত হাতিটির শরীরের বাহিরের দিকে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলে জানিয়েছিলেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে ময়নাতদন্তে হাতি মৃত্যুর কারন বেরিয়ে আসে।

Development by: webnewsdesign.com