কক্সবাজারের পেকুয়ায় কৃষক লীগ নেতার নেতৃত্বে চলছে বালি উত্তোলন। মাতামুহুরী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলনের মহোৎসব চললেও নীরব রয়েছে প্রশাসন। গত এক মাস ধরে সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা বাঘগুজারা রাবারড্যান পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীতে বিশাল আকারের ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন একটি বালুখেকো সিন্ডিকেট। জানা গেছে, মেহের আলীর নেতৃত্বে চলছে নদী থেকে বালি লুট। হাজার হাজার ঘনফুট বালি স্তূপ করা হয়েছে। এসব বালি গাড়িযোগে পেকুয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া মানুষের ভিটেবাড়ি ভরাট কাজেও ব্যবহার হচ্ছে। প্রায় মাসদেড়েক ধরে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে এই বালি উত্তোলন।
যার ফলে বর্ষাকালে নদী ভাঙনসহ নদীর পাড়ে বসবাসরত বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। কৃষক লীগের ওই নেতা প্রভাবশালী হওয়াতে আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করেই অবৈধ বালি উত্তোলনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কৃষক লীগ নেতা মেহের আলী উপকূলের বালিখেকো নামে তিনি বেশ পরিচিত। গত তিন বছর ধরে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে তার নেতৃত্বে চলছে বালি উত্তোলন। দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালি উত্তোলন করে পাচার করে আসলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কৃষক লীগ নেতা মেহের আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বালি উত্তোলনের মেশিন বন্ধ করে দিয়েছি। এখন বালি তুলছি না। এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিনাত জানান, অবৈধভাবে উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে নদী ভাঙন ও নদী সংলগ্ন ব্রিজ হুমকির মুখে রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে খুব শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com