আবারও তীব্র ভাঙনের কবলে টাঙ্গাইলের বেশ কয়েকটি গ্রাম

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

আবারও তীব্র ভাঙনের কবলে টাঙ্গাইলের বেশ কয়েকটি গ্রাম
apps

টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় আবারও তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, বেলটিয়া বাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ঘর বাড়ি মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এখন ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এলাকা পরিদর্শনে এসে আবারও বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রীর। টাঙ্গাইল থেকে কাদির তালুকদার এর তথ্য ও ছবি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন।

যমুনার তীব্র ভাঙনে চোখের সামনে এভাবেই গাছপালা ও বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলিন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, বেলটিয়া বাড়িসহ অন্তত পাঁচটি গ্রাম। প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘর বাড়ি মসজিদ মাদ্রাসা বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে । ভাঙ্গনের তীব্রতা এতোটাই বেশি যে অনেকে ঘর বাড়ি সরিয়ে নেয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন না। ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এসব মানুষ।

এলাকাবাসী জানান, আমরা কোন দান খয়রাত কিছুই চাই না। নদী ভাঙন ঠেকাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি স্থানীয় জন প্রতিনিধির। সেই সঙ্গে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণেরও দাবি জানান তিনি।

টাঙ্গাইল কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ভাঙন ঠেকাতে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে পুরো ইউনিয়ন নদী গর্ভে চলে যাবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাদ দেন। এটা অনেক ব্যয়বহুল প্রজেক্ট। আশা করি সকলের সিদ্ধান্তে আগাসী মৌসুমের আগেই এটার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বছর বন্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রায় ৫টি গ্রামে প্রায় ৫ শতাধিক ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো শতাধিক ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

Development by: webnewsdesign.com