অ্যানিমিয়া রাখার উপায় ৭ খাবারে

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

অ্যানিমিয়া রাখার উপায় ৭ খাবারে
অ্যানিমিয়া রাখার উপায় ৭ খাবারে
apps

চেহারা দিন দিন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। যে কোনও কাজেই আলস্য লাগছে। শরীরে খুব ক্লান্তি আর দুর্বলতা। কিছুই খেতে ভাল লাগছে না। এই সব লক্ষণগুলোকে উপেক্ষা করলে কিন্তু মস্ত ভুল করবেন। এগুলো কিন্তু হতেই পারে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। মূলত শরীরে আয়রনের অভাবে এমনটা হয়। প্রেগন্যান্সির সময় অনেক নারীরাই রক্তাল্পতায় ভোগেন। গবেষণা বলছে, গোটা বিশ্বে মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি হিমোগ্লোবিনের অভাবে রক্তস্বল্পতায় ভোগেন।

রক্তে লোহিত রক্তকণিকা (RBC) বা হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকলে, তাকে অ্যানিমিয়া বলা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজকার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন দূর করতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যা। তাই, রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে রোজ খান এই খাবারগুলো।

বিটরুট প্রচুর পরিমাণে আয়রন, তামা, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, বি১২ এবং সি থাকে। বিটের এই ভরপুর পুষ্টি আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে।

কিশমিশ এবং খেজুর আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং আয়রন শোষণ উন্নত করতে আপনার রোজের ডায়েটে এই ড্রাই ফ্রুটস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। সবুজ মুগ ডালের খিচুড়ি পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর আয়রন থাকে এবং এনার্জিও বাড়ায়। এ ছাড়াও এই স্বাস্থ্যকর খাবারে প্রোটিন এবং ভালো কার্বোহাইড্রেট সঠিক মাত্রায় রয়েছে।

তিল বীজ আয়রন, কপার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন বি৬, ই এবং ফোলেটে ভরা। সূর্যমুখীর বীজেও আয়রন এবং জিঙ্কের মতো উপাদান আছে। কুমড়ার বীজেও আছে আয়রন। প্রতিদিন কালো তিলের বীজ খাওয়া শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এবং আয়রন শোষণকে উন্নত করতে পারে।

সজনে গাছের ফুল, ডাঁটা, পাতা সব কিছুই আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারি। সজনের পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। যে কারণে অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই পাতা।

স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম সোয়াবিন। সোয়াবিনে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়াম রয়েছে প্রচুর পরিমাণ। নিয়মিত সোয়াবিন খেলে অ্যানিমিয়া, হার্টের অসুখ, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। হাড়ও ভালো থাকে।

আয়রনের ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন পালং শাক খান। পালং শাকে আয়রনের পরিমাণ প্রচুর। মটরশুঁটি, বিনসেও উচ্চমাত্রায় আয়রন রয়েছে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

Development by: webnewsdesign.com