বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ধরণের অপরাধ দমনের বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালনা করিতেছেন তা ১৯৭১ সালের পর থেকে কোনো সরকারই এই রকমের চমক দেখাতে পারেনি। কারণ দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো দলের নেতাকর্মী এই রকমভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দল এবং ব্যক্তি কাউকেই অপরাধের বেলায় ছাড় দেননি। অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপে আছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে যে কোনো অপরাধ পেলেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আদেশ করে থাকেন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য। ক্যাসিনো ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, জি কে শামীম, সাহেদ, পাপিয়া, জি কে গৌউস, ইরফান সেলিম, পিযুষ কান্তি দে, এমনকি লিঠনসহ একাধিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী বিভিন্ন জেলা থেকে অপরাধের কারণে গ্রেফতার হয়েছেন, এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যও অপরাধ করে ছাড় পাননি, ভোগ করতে হচ্ছে সাজা। যা অন্য কোনো সরকারের আমলে অপরাধের কারণে নিজের দলের নেতাকর্মীদেরকে এইভাবে গ্রেফতার করে দেখাতে পারেনি।
আওয়ামীলীগ সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদদের প্রশ্রয় দেয় না বরং সন্ত্রাস দমন করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ইদানীং দেখা যায় আওয়ামীলীগের কিছু কিছু নেতাকর্মীরা গোপনীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর সামালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী যে রকমভাবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের একটু একটু অপরাধ পেলেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অ্যাকশন নির্দেশে দেন, তাদের ধারণা প্রধানমন্ত্রীর এইরকম শাসনের কারণে দিন দিন আওয়ামীলীগ থেকে নেতাকর্মীরা বের হয়ে যাবে।
আলী হোসেন সরকারের ধারণা, এই রকম নেতাকর্মী বের হয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর কিছুই আসে যায় না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন বাংলার ন্যায় ও প্রতিবাদী জনগণ। প্রধানমন্ত্রী জনগণের হৃদয়ে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের স্থান দখল করে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চান, তিনি না ঘুমালেও জনগণ যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে।
এই প্রত্যাশা করেই শেখ হাসিনা অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সবসময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে অপরাধের পরিমাণ এর তুলনায় এখন তা কমে এসেছে ৭০ শতাংশেরও নিচে। আগে যে রকমভাবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, জমি দখল ইত্যাদি হতো, তা বর্তমানে ৮০ শতাংশের নিচে কমে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে একটি সুনামধন্য, আদর্শ, ডিজিটাল দেশ হিসেবে তুলে ধরা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নিজের অনেক চেষ্টা ও স্বপ্ন রয়েছে। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আরো ১০ বছর যদি দেশ চালানো যায়, তাহলে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি রুলমডেল হিসেবে পরিচিত হবে।
Development by: webnewsdesign.com