দেশে চলমান জাপানি প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তারা আমাদের বিষয়ে হ্যাপি। তারা মনে করেন, এখন যারা লিডারশিপে আছেন, দিজ আর গুড হ্যান্ড। তিনি বলেন, শুধু টাকা পয়সা নয়, আমরা হেলথের কথাও বলেছি। তারা বলেছে, এ বিষয়ে আমাদের যে এক্সিস্টিং প্রজেক্ট (চলমান প্রকল্প) আছে, তাতে সহায়তা করবে। প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য খাতে এবং শিক্ষা খাতে আরও সহায়তা করবে। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি বলেছি, বাজেট সাপোর্ট আমাদের দরকার, টাকা-পয়সা দরকার। জাপানের বিষয়ে আমরা অত্যন্ত পজিটিভ। তাদের বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই, দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই বরং ভবিষ্যতে জন্য তারা আরও প্রজেক্ট নিয়ে নেগোসিয়েশন করবে।
জাপানের চলমান প্রকল্পগুলো তাহলে কি অব্যাহত থাকবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু কিছু বড় প্রজেক্টের জন্য একনেকের মিটিং লাগবে। যেগুলো রুটিন আছে, সেগুলো তো করবে। জাপান কিছু সংস্কারের বিষয়ে প্রশ্ন করেছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর, এনবিআর, কাস্টমস-তারা চাচ্ছে ব্যবসার পরিবেশ, আমি বলেছি, এগুলো ইমিডিয়েটলি সংস্কারের বিষয় আছে। ভবিষ্যতের বিষয়ে আমি বলেছি, তোমরা এখন যা দিচ্ছো, তা অত্যন্ত ভালো। কিন্তু আমি মনে করি, তোমরা সাহায্য বাড়াবে। তখন তারা বলল, আমাদের রিকোয়েস্ট কনভে করবে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, তিনি জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, তারা যেন প্রাইভেট সেক্টরে ইনভেস্ট বাড়ায়। আড়াই হাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে, তিনি বলেছেন দ্রুত সম্পন্ন করতে। প্রাইভেট সেক্টরে ইনভেস্টমেন্ট দরকার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে হলে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) লাগে।
বৈঠকের আলোচনার বিষয় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রজেক্ট যেগুলো আছে সেগুলোর বিষয়ে তারা নিশ্চয়তা চাচ্ছে। আমি বলেছি, কিছু কিছু প্রজেক্ট মূল্যায়ন করা হবে অটোমেটিক্যালি এবং তা চলবে। আমরা বাজেট সাপোর্ট দেওয়ার কথা বলেছি। আমাদের ছাত্ররা জাপানে যান স্কলারশিপ নিয়ে, আমি বলেছি তাদের জন্য টাকা পয়সা বাড়াতে।
Development by: webnewsdesign.com