পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবদেন দাখিল করেছে সংস্থাটি।
এর আগে, গণমাধ্যমে বেনজীরের দুর্নীতি ও সম্পদের পাহাড় নিয়ে প্রতিবদেনের পর নড়েচড়ে বসে দুদক। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বান্দরবান ও গাজীপুরে নামে-বেনামে বিভিন্ন সম্পদের তথ্য পায় সংস্থাটি। ধারণা করা হয়, বিপুল অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন বেনজীর।
দুদক জানিয়েছে, অগ্রগতি প্রতিবেদনে তারই তথ্য মিলেছে। এর আগে, বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২২ এপ্রিল কমিটি গঠন করে দুদক। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে গত ২৩ এপ্রিল থেকে টাকা সরাতে থাকেন সাবেক এই আইজিপি। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিসতা। সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলছেন, অনুসন্ধান শুরুর পর বেনজীরের টাকা সরিয়ে নেয়া এবং টাকা তোলার তৎপরতা প্রমাণ করে তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতা।
এদিকে, তিন দফায় সাবেক আইজিপির প্রায় ৭শ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে। জব্দ রয়েছে, ১২টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাবসহ বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে আরও সম্পত্তি থাকতে পারে বলে ধারণা দুদকের। দুদক আইনজীবী বলছেন, মামলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই আসবে।
গত ২ জুলাই বেনজীর ও তার পরিবারকে সম্পদের হিসাব দিতে নোটিশ জারি করে দুদক। সময় দেয়া হয়েছে ২১ কর্মদিবস। বেঁধে দেয়া এ সময় শেষ হবে এ মাসের শেষ সপ্তাহে।
Development by: webnewsdesign.com