ঈদুল আজহার তিন মাস আগেই মসলা আমদানি করা হয়েছে। ডলার সংকটের কথা বলে এলসি খুলতে না পারার অজুহাতে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীর একটি তিন তারকা হোটেলে নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ভোক্তা অধিকারের ডিজি।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের ডলারের কিছুটা সমস্যা আছে, কিন্তু জরুরি পণ্যের ক্ষেত্রে এলসির কোনো সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট করা হয়েছে। আমাদের জরুরি পণ্যের জন্য ডলার কিন্তু আছে। এটা কিন্তু অজুহাত যে এলসি পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘সামনে কোরবানি। মসলার বাজারটাও অস্থির। বিশেষ করে এলাচের দাম অত্যাধিক বাড়ছে। এলাচ ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসে। অলরেডি সেগুলো চলে এসেছে। কোরবানির মসলা কিন্তু আরও তিন মাস আগে এসেছে। সেটি পুরোনো ডলারে মজুদ আছে। এ জন্য খাতুনগঞ্জ এবং ঢাকায় যে বাজার আছে, সেখানে আমরা কঠোর মনিটরিং করছি।’
ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, ‘আমরা মনিটরিং জোরদার করেছি। ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে। দাম বেড়ে যাওয়ার ভয়ে আমরা আমরা একসাথে অনেক পণ্য কিনতে যাই। তাতে করে বাজারের সাপ্লাই চেইনের ডিস্টার্ব হয় এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা ওই সুযোগটাই নেয়।’
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য নূর মো. শামসুজ্জামান, রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ইউএসএআইডি ফিড দ্য ফিউচার পলিসি এক্টিভিটি এবং বিসেফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মশালায় রাজশাহীর বিভিন্ন খুচরা, পাইকারি, আড়ত মালিক ও ডিলার পর্যায়ের ব্যবসায়ী এবং রেস্তোরাঁ মালিকরা অংশ নেন। এই কর্মশালা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ক্যাবের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ভোক্তা অধিকারের ডিজি।
Development by: webnewsdesign.com