পৃথিবীর শ্বাসনালী আমাজন ধ্বংস কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আগের তুলনায় প্রতিবছরই বন ধ্বংসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ এসে বনভূমি ধ্বংসের হার ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি দেশটির সরাকারি এক প্রতিবেদনের বরাতে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। বন নিধনের তথ্য স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে। যা প্রকৃত চিত্র সহজে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে।
দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ জানায়, ২০১৮ সালে আমাজনের বনভূমি নিধন হয়েছিল ৪ হাজার ৯৪৬ বর্গ কিলোমিটার। আর ২০১৯ এ এসে নিধন হয় ৯ হাজার ১৬৬ বর্গ কিলোমিটার। যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারো ক্ষমারোহণের প্রথম বছরেই বন নিধনের হার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তিনি ক্ষমতায় এসে আমাজন ধ্বংসের জলবায়ু আইনে শিথিলতা আনেন।
গত বছর দাবানলে আমাজন অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পুড়ে যাওয়ার পর এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। ওই সময় ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের সাথে এ ঘটনায় বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়। যদিও আগুনের ঘটনাকে ইচ্ছাকৃত বলে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া বেশ কয়েকজন পরিবেশ বিজ্ঞানী আগুনের পরিধি, ধরণ ইত্যাদি দেখে ইচ্ছাকৃত বলে সাব্যস্ত করেন।
ওই সময় আগুনের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়। এবং এর জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে দায়ী করা হয়। কারণ, তিনি আমাজন নিধন করে শিল্পায়নের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত বক্তব্য রাখেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস মঙ্গলবার ওয়াচ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের প্রতি পরিবেশ নীতি সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানায়, বিদ্যমান আইন বন নিধন করে জমি তৈরিতে উৎসাহিত করে এবং এতে পরিবেশবাদীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি আমাজনের পার্শ্ববর্তী মারানহো রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমে দুইজন আদিবাসীকে হত্যা করা হয়।
Development by: webnewsdesign.com