বৌভাতের অনুষ্ঠানে পরার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে ১০ হাজার টাকা দামের লেহঙ্গা দিয়েছে। ‘কম দামের’ পোশাক দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিয়ে ভেঙে দিলে খোদ পাত্রী। হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে কম দামের লেহঙ্গা দিয়েছে। সেই অভিযোগ তুলে বিয়ে ভাঙল স্বয়ং কনে। ঘটনাস্থল ভারতের উত্তরপ্রদেশের হালদোওয়ানি গ্রাম। চলতি বছর জুন মাসে আংটিবদল হয়েছিল ওই যুগলের। তার পর থেকেই জোরকদমে চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি।
দু’বাড়িই নিজেদের মতো করে বিয়ের জন্য তৈরি হচ্ছিল। নিমন্ত্রণ পর্বও শুরু হয়েছিল। হঠাৎই বেঁকে বসেন কনে। স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই বিয়ে তিনি করবেন না। হবু কনের সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যান সকলে। কারণ বিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই যথেষ্ট উত্তেজিত ছিলেন তরুণী। নিজেই পছন্দ করে বিয়ের সব পোশাক কিনেছিলেন তিনি। তার পরেও কেন বেঁকে বসলেন কনে?
বৌভাতের সন্ধ্যায় পরার জন্য হবু শ্বশুরবাড়ি একটি লেহঙ্গা দেওয়া হয় পাত্রীকে। কিন্তু লেহঙ্গার দাম দশ হাজার টাকা। দাম শুনেই বিয়ে করবেন না বলে বেঁকে বসেন হবু কনে। দশ হাজার টাকাটা বিয়ের পোশাকের জন্য একেবারে যথেষ্ট নয় বলে মনে হয়েছে তার। অন্য দিকে হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, লখনউয়ের একটি প্রসিদ্ধ পোশাকের দোকান থেকে বেশ দাম দিয়েই কেনা হয়েছে। তা অবশ্য বিশ্বাস করেননি কনে। পছন্দ অনুযায়ী লেহঙ্গা কিনে নিলে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে— হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে সে কথাও বলা হয়। তবু মন গলেনি পাত্রীর। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নেন।
সূত্র: আনন্দবাজার
Development by: webnewsdesign.com