১৪ মাসে সড়ক দুঘর্টনায় সিলেটে ২৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১ | ৭:১০ অপরাহ্ণ

১৪ মাসে সড়ক দুঘর্টনায় সিলেটে ২৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
apps

যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক। ব্যস্ততম এই মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনার বেশিরভাগই মহাসড়কের সিলেট অংশের ওসমানী নগর এলাকাতে ঘটছে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২০ সালের ২৪ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেটের ওসমানী নগর থানাধীন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এসব ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন প্রায় শতাধিক মানুষ। এসব দুর্ঘটনার বেশির ভাগই ঘটেছে ভোর বেলা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপ্রশস্ত সড়ক, অপ্রশিক্ষিত চালক, বেপরোয়া গতি, আঁকাবাঁকা সড়ক, যত্রতত্র স্পিড ব্রেকার, সাইনিং রোড মার্কিং-এর অভাব। মহাসড়কে ছোট ছোট ভাঙ্গন দ্রুততার সহিত মেরামত না করলে আসছে শীত মৌসুমে বড় বড় দুর্ঘটনা বাড়বে এমন টা আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সওজ সিলেট অফিস বলছে, ইতোমধ্যে তারা দুর্ঘটনার জন্য সাতটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত সড়ক সংস্কারে ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। এ অবস্থায় পরিবহন নেতারা দুর পাল্লার বাসগুলিতে গাড়ীর মালিকরা অতিরিক্ত চালক নিয়োগ দেয়ার কথা বলছেন।

জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকসহ ৮ জন।

এ ঘটনায় আহত হন আরো অন্তত ২০ জন। ৩১ জুলাই সকাল ৭টায় ওই মহাসড়কের সিলেট অংশের ওসমানী নগরের চাঁদপুর এলাকায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন নিহত হন।

এ ভাবেই পুরো বছরজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনার নিউজের শিরোনাম ছিলও সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানী নগর ও দক্ষিণ সুরমা থানাধীন এলাকা।

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফুর রহমান জানান, ২৪৩ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করে ঢাকা থেকে সিলেট আসতে একজন ড্রাইভারের সময় ব্যায় হয় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। দীর্ঘ সময় গাড়ি ড্রাইভ করার পর ক্লান্ত হয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যান অনেক ড্রাইভার যা দুর্ঘটনার জন্য অনেকটা দায়ী। তাছাড়া আঁকাবাঁকা স্থানগুলোতে নেই সংকেত চিহ্ন।

হাইওয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ জানান, বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ক্রুটি, ফিটনেস-বিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা ও ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, যত্র তত্র স্পিড বেকার এবং পর্যাপ্ত রোড মার্কিং না থাকার কারণে ঘটছে এমন দুর্ঘটনা।

Development by: webnewsdesign.com