শীতের সময় শিশুদের গোসল নিয়ে অনেকেই বেশ টেনশনে থাকেন; অনেকে দ্বিধায় পড়েন। অথচ এ সময় নিয়মিত গোসল করানো ভালো। না করালে বরং ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বক শুষ্ক থাকে, খসখসে ভাব হয়। শরীর ঘেমেও যায়। এই ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়, ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে, ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। তাই কিছু করণীয় হলো—
► জন্মের পর নবজাতককে (২৮ দিন বয়স পর্যন্ত) ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত গোসল না করানো উচিত। এরপর প্রতি এক দিন পর পর গোসল করানো যেতে পারে। এ ছাড়া শিশুর অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে নিয়মিত গোসল করানো উচিত।
► শিশুকে সহনীয় হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করান। হালকা গরম পানিতে গোসল করালে শরীরের বন্ধ লোমকূপ খুলে যায় এবং রক্ত চলাচলের গতি বেড়ে যায়।
► গোসলের আগে শিশুকে কিছুক্ষণ রোদে রাখার পর অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল শরীরে মালিশ করলে ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা কমবে। ত্বকও থাকবে অনেক ভালো।
► কানে যাতে পানি না ঢোকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
► ৩০ দিনের বেশি বয়সী শিশুদের প্রতিদিন গোসল করাবেন। তবে নিউমোনিয়া বা ঠাণ্ডার লক্ষণ থাকলে না করানোই উচিত।
► শীতে শিশুদের জন্য গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। গোসল শেষে নরম তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে দিন। এরপর ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। এতে শিশুর ত্বক ভালো থাকে।
► গোসলের সময় এক দিন পর পর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করান। এতে মাথার ত্বক ভালো থাকবে এবং মাথায় কোনো ফুসকুড়ি উঠবে না।
লেখক : সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুরোগ বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
Development by: webnewsdesign.com