রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু

সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু
apps

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে সেনাবাহিনী কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করেছে। এতে খুশি হয়েছে রোহিঙ্গারা। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) উখিয়ার থাইংখালীর ময়নারগুনা রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য পিলার বসাতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের।
ওই শিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক আহমদ (৬৭) বলেন, ‘ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করলে নিরাপত্তা জোরদার হবে। ক্যাম্পে কিছু খারাপ লোক ঢুকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। কাঁটাতারের বেড়া দিলে আগের মতো লোকজন চলাচল করতে পারবে না। এই উদ্যোগ আরও আগে নেওয়া প্রয়োজন ছিল। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘কিছু অসৎ মানুষ রয়েছে, তারা এই কাঁটাতারের বেড়া হওয়ায় নাখোশ। কেননা তারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এই বেড়া বসলে হয়তো আগের মতো তারা কাজ করতে পারবে না। তবে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা এই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে খুশি হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছিল। যা এখন আর সহজে সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, ‘কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে রেখে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া এই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ফলে ক্যাম্পে অনেক অপরাধ রোধ হবে আশা ব্যক্ত করেন।’
উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, অপহরণ, মাদক ও মানবপাচারের ঘটনা অনেক পুরনো। এসব ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। এখন ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুরু করেছে। এটা স্থানীয়দের মতো রোহিঙ্গাদের জন্য ভালো হবে। এটা সবার জন্য নিরাপদ হবে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেক ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। সেটি মাথায় রেখে সরকার কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে। এতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বাড়বে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটা কমে আসবে।’
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের প্রায় ৩৪টি শিবিরে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

Development by: webnewsdesign.com