বাউফলে আটককৃত অবৈধ ইলিশ ও জাল বিক্রি করছেন মৎস্য কর্মকর্তা!

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০ | ৩:৪৩ অপরাহ্ণ

বাউফলে আটককৃত অবৈধ ইলিশ ও জাল বিক্রি করছেন মৎস্য কর্মকর্তা!
apps

বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার সময় মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক অভিযান চালিয়ে আটক করা ইলিশ ও জাল এক মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে গোপণে বিক্রি করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবগত না করে উপজেলা সহকারি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে দুইটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালায়। অভিযান শেষে রাতে জব্দকৃত ইলিশের কিছু অংশ এতিমখানায় দেয়া হয়েছে এবং ও জালের কিছু অংশ পুড়িয়ে ফেলে কৌশলে ইলিশ ও জালের সিংহভাগ অফিস কক্ষ ও ট্রলারে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

এরপর গভীর রাতে জসিম উদ্দিনের নির্দেশে মৎস্য অফিসের কর্মচারীরা প্রতিহালি ইলিশ এক থেকে দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছে। একাধিক সূত্র জানায়, মাছ কেনা-বেচার সাথে পৌর শহরের কয়েকজন প্রভাশালী ব্যক্তি ও তথাকথিত কয়েক সাংবাদিকও জড়িত রয়েছে। অপরদিকে লুকিয়ে রাখা কারেন্ট জাল দালাল শ্রেণির জেলেদের মাধ্যমে অন্য জেলেদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ইলিশ ধরার সাথে জড়িত নয় এমন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে জানান, মৎস্য অফিসের সাথে এক শ্রেণির জেলেদের গোপণ যোগাযোগ রয়েছে।

নদীতে অভিযান শুরুর আগেই মোবাইল ফোনে জেলেদের তথ্য জানিয়ে দেয়া হয়। কোন স্থান থেকে কোন দিকে অভিযানিক দল যাচ্ছে এর সব কিছুই জেলেরা র্প্বূ থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে জেনে যায়। এজন্য মৎস্য অফিসকে বড় অংকের বকশিস দেয় জেলেরা। অভিযোগ রয়েছে, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন অবৈধ ওই লেনদেনের নির্দেশক। যারা কথা শুনেন না তাদেরই মাছ, জাল ও নৌকা আটক করা হয়। এদিকে কালিশুরী ও কাছিপাড়া ইউনিয়ন সংলগ্ন কারখানা নদীতে দিনে দুপুরে জেলেরা ইলিশ শিকার করছেন। এক্ষেত্রে প্রভাবশালীরা মৎস্য অফিস ও পুলিশকে ম্যানেজ করে নিয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

সরেজমিন তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করা একাধিক জেলে জানান, এবছর বাউফলে মা ইলিশ রক্ষায় তেমন তৎপরতা চোখে পড়ছে না। এসুযোগে অসাধু জেলে ও প্রভাবশালীরা ব্যক্তিরা নির্বিঘ্নে তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ আহরণ করে যাচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন কোন সদত্তোর দিতে পারেন না।

বাউফল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. অহেদুজ্জামান বলেন, এসব বিষয়ে আমার জানা নেই। পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Development by: webnewsdesign.com