আজ ২৯ মে, বিস্কুট দিবস। দিবসটি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হলেও বাংলাদেশে দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালনের কোনো তথ্য নেই।
সামান্য খিদে মেটাতে স্বাস্থ্যকর খাবারের নামের তালিকায় প্রথমেই যে নামটি আমাদের মাথায় আসে তা হলো বিস্কুট। চা, কফি কিংবা দুধের সঙ্গে এই খাবার যেন মানিক-জোড়। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় স্ন্যাকস।
বিস্কুট মূলত ময়দার তৈরি। রুটির বিকল্প ও সহজে বহনযোগ্য এই খাবারটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৬৩০ সালে ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের নাম। তিনিই প্রথম এই দিবসটি চালুর সিদ্ধান্ত নেন।
যদিও এই শুকনো খাবারটিকে প্রায় সব দেশেই বিস্কুট বলা হয়ে থাকে তবে এটি পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কুকি নামেই বেশি পরিচিত ছিল।বিস্কুট ওজনে হালকা, পর্যাপ্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ এবং সহজে নষ্ট হয় না। বন্যা কিংবা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই খাবারটির গুরুত্ব বেড়ে যায়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীন গ্রিক, রোমান ও মিসরীয় সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনীর সদস্য ও ব্যবসায়ীরা প্রায়ই বছরের একটি দীর্ঘ সময় সমুদ্র কিংবা দুর্গম অঞ্চলে সময় কাটাতো।
এ কারণে সেই সময়ে এমন একটি খাবারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় যে খাবার হবে ওজনে হালকা, পর্যাপ্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ এবং সহজে অপচনশীল।বিষয়গুলো মাথায় রেখেই সে সময় উদ্ভাবিত হয় দারুণ এই খাবারটির। বিস্কুটের এই গুরুত্ব তুলে ধরতেই প্রতিবছর এই দিনে দিবসটিকে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার
Development by: webnewsdesign.com