কথায় আছে “ভোগের নয়, ত্যাগের রাজনীতি”। ভোগের রাজনীতি হয় অভাবে আর স্বভাবে।আর ত্যাগের রাজনীতির পূর্বশর্ত হলো নিজের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা।
আদর্শিক রাজনীতি তখনই সম্ভব, যখন দলের নেতা-কর্মী ও দেশের জনগণ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকবে। টাকার বিনিময়ে ভোট কেনা যাবে না, টাকার বিনিময়ে কেউ স্লোগান দিতে আসবে না।
যারা আসবে টাকার মায়ায় নয়,দলের আদর্শকে দেশের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে নিজের অর্থ ব্যয় করে প্রচারণা করবে।
যারা চাকুরী করে তাদের নির্দিষ্ট বেতন আছে।তারপরও তারা ঘুষ খায়। রাজনীতিবিদদের আয় কি?? তাদের তো কোন বেতন ভাতা নেই। তাহলে কিভাবে এ ব্যবস্থায় সুস্থ রাজনীতি সম্ভব??
হয় আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের রাজনীতিতে ডুকাতে হবে অথবা ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নির্দিষ্ট বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা দলের আদর্শের চেয়ে পেট চালানোর রুজি-রোজগার এখানে মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়াবে।
অনেকে রাজনীতিবিদদের বেতন-ভাতার বিষয়টির বিরোধিতা করতে পারে। কিন্তুু ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বেতন-ভাতা দেয়া হলে দেশের চাঁদাবাজি অনেক কমে যাবে। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে। দল সম্পর্কে বাজে ধারণা হবে না।
যেহেতু টাকা হলে কর্মী পাওয়া যায়, তাহলে কেন ঐ নেতা চাঁদাবাজি করবে না?? কর্মী কেন আদর্শিক নেতার পিছনে না গিয়ে টাকার নেতার কাছে যাবে?? কারণ কর্মী দলের আদর্শকে ধারণ করে আসেনি। এসেছে নিজের পেট চালাতে।
এভাবে দেখতে গেলে একজন আরেকজনের কাছে আর্থিক কারণে সম্পর্কযুক্ত। তাই যতোদিন না দেশের সকল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি না হবে ততোদিন আদর্শিক রাজনীতির চেয়ে পেট চালানো রাজনীতি বেশী হবে,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির প্রতিযোগিতা ।আর সেসব পেটনীতি করা লোকের জন্য দল জনগণের কাছে তার ইমেজ হারায়।
মোঃ খালেদুজ্জামান (ফারছিম)
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
Development by: webnewsdesign.com