ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির (২৪) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় বড় মেয়ে মিন্নির সাবেক স্বামী জামিরুল ইসলামকে প্রধান করে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে এজাহারভুক্ত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- তন্ময় (২০), লাবিথ(৩০), আমিরুল(৫০) ও নজরুল ইসলাম(৪২)। এদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার বসন্তপুর গ্রামে। তবে এখনও পলাতক রয়েছে মূল অভিযুক্ত জামিরুল ইসলাম।
এদিকে ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে শনিবার সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে ইবি শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পড়ালেখা শেষ করা মেধাবী ছাত্রী তিন্নীর মৃত্যুতে শুক্রবার রাতে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২ জনের নামে শৈলকুপা থানায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিন্নির ময়না তদন্ত রিপোর্ট এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। তবে প্রাথমিকভাবে ময়না তদন্তে ধর্ষণের আলামত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বড় বোন মিন্নির সাবেক স্বামী জামিরুল স্ত্রীকে আবারো ফিরিয়ে নিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামের বাড়িতে লোকজন নিয়ে আসে এবং তারা বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এসময় তিন্নি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ছিল। ভাংচুরের সময় বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে চেচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে জামিরুল ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনার পর তিন্নির কোন সাড়া না পেয়ে দ্বিতীয় তলায় তার রুমের ভেতর থেকে লাগানো দরজা ভেঙ্গে তারা তিন্নিকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
Development by: webnewsdesign.com