ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও সন্তানকে গলাটিপে হত্যার ঘটনায় শফিকুল ইসলাম শাহিনকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম।
ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বুধবার স্ত্রী-সন্তানকে গলাটিপে হত্যার পর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ থেকে শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ময়মনসিংহ আনার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হবে।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের ফকিরবাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রুমা আক্তারকে (৩৮) গলাটিপে করে হত্যা করেন স্বামী শফিকুল ইসলাম শাহিন। এ সময় তার দুই মেয়ে বাসায় ছিল না। স্ত্রীকে হত্যার পর ছোট মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী নাফিয়া আক্তারকে (১৪) মায়ের অসুস্থতার কথা বলে স্কুল থেকে বাসায় নিয়ে আসেন শাহিন।
বাসায় এসে মাকে মৃত অবস্থায় দেখে কান্নাকাটি শুরু করায় তাকেও গলাটিপে হত্যা করেন বাবা। বড় মেয়ে সাদিয়া (২০) স্বামীর বাড়ি থাকায় তাকেও মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং হত্যার চেষ্টা করেন শাহিন। এ সময সাদিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান শাহিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শাহিন কাঠ ব্যবসায়ী। পাশাপাশি জমির দালালি করেন এবং জুয়া খেলেন। বুধবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রুমা আক্তারকে গলাটিপে হত্যা করেন শাহিন। মাকে হত্যার দৃশ্য ছোট মেয়ে নাফিয়া দেখে ফেলায় তাকেও গলাটিপে হত্যা করেন। ঘরের ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে বড় মেয়ে সাদিয়া ঘরে প্রবেশ করে হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় সাদিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসায় শাহিন পালিয়ে যান। স্থানীয়রা সাদিয়াকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছি আমরা। শাহিন গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com