হবিগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার ৩ দিন ধরে অনশন

বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩ | ৫:১৯ অপরাহ্ণ

হবিগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার ৩ দিন ধরে অনশন
হবিগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার ৩ দিন ধরে অনশন
apps

রং নাম্বারে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রেম, দেখা স্বাক্ষাত বিয়ের আশ্বাসে অতঃপর দৌহিক মেলামেশা। কিন্তু প্রেমিকাকে বিয়ে করতে প্রেমিক পরিবারের আপত্তি এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে। ঐ গ্রামের মৃত কনর মিয়ার পুত্র আল আমিন (৩০), এর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই ইউনিয়নের বানুদেব গ্রামের জনৈক্য যুবতীর সাথে অনশনরত অবস্থায় ওই প্রেমিকার সাথে কথা হলে সে বলে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আল আমিনের সাথে প্রায় ২ বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সে আমাকে বিয়ে করবে বলে একাধিক বার বিভিন্ন স্থানে দৌহিক মেলামেশাও করেছে।

কিছু দিন পূর্বে আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বলে বিয়ে করার মতো তার কাছে কোন টাকা পয়সা নাই। তার কথা শুনে আমি আমার বাড়ি থেকে সোনা-গয়না চুরি করে ২০ হাজার টাকা এনে দিয়েছি। পরে সে আমাকে হবিগঞ্জের এক উকিল সাহেবের কাছে নিয়ে জায় সেখানে লেখালেখির এক

পর্যায়ে ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধন না থাকায় আমাদের কোর্ট ম্যারেজ হয় নাই পরে সে আমাকে বলে নবীগঞ্জ আমার এক আত্মীয় আছে, সেখানে গেলেই বিয়ে করতে পারবো। এ কথা বলে তার বোন জামাইর সিএনজি যোগে আমাকে নবীগঞ্জ একটি চায়ের দোকানে বসিয়ে আল আমিন ও তার বোন জামাই সিএনজি অটোরিক্সা চালক তাহিরপুর গ্রামের খালেদ মিয়া পালিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ঐ দোকানে তাদের অপেক্ষায় থাকার পর এ ঘটনার খবরে আল আমিনের বোন জামাই, আমার বোন জামাই সহ আমার আত্মীয় স্বজনদের খবর দিলে তারা স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কাছে বিষয়টি হস্তান্তর করেন। এরপর ঘটনার ২/৩ দিন হলেও কোন সুরাহা না হওয়াতে অবশেষে গত শনিবার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে প্রেমিক আল আমিনের বাড়িতে অনশন করে প্রেমিকা। ২দিন ২ রাত অনশন করার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঐ প্রেমিকা মেয়েটিকে এক নজর দেখার জন্য ঐ বাড়িতে ভীড় জমান। এ ব্যাপারে প্রেমিক আল আমিন এর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৭৭৬২৩২৯৭৯ এ যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে আল আমিনের মায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি এসব কিছু জানিনা। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য বশির আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে আমি জানি কয়েকবার সামাজিক ভাবে মিমাংশা করার চেষ্টা করেও পারিনি, এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমাদের জানা ছিলনা। গতকাল রাতে খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ রুস্তমপুর গ্রামে আল আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকা না পেয়ে প্রেমিকের বোনের তথ্য মতো প্রেমিকার বাবার বাড়ি আছে বলে সত্যতা পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন এ বিষয়টি যদি সামাজিক ভাবে মিমাংশা না হয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Development by: webnewsdesign.com