‘সূর্যমুখীর রাজ্য’ ডোমরাকান্দি

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ | ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

‘সূর্যমুখীর রাজ্য’ ডোমরাকান্দি
apps

ভোর হলেই সোনা রোদে চোখ মেলে ঝলমলে সূর্যমুখী। মাইলের পর দিগন্ত বিস্তৃৃত ক্ষেতে সূর্যমুখীর চাষ। নীল আকাশের সঙ্গে হলুদ ফুলগুলোর মায়াবি রূপ যে কারো মনকে নাড়া দিতে বাধ্য। বাগানে প্রতিদিন বসে প্রজাপতি আর মৌমাছির মেলা। নয়ন জুড়ানো এ দৃশ্য মোহিত করে পর্যটকদের।

ফরিদপুর শহরের অদূরেই ডোমরাকান্দি গ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। এ সড়কের পাশেই এমন নজরকাড়া সূর্যমুখীর হলুদ আঙ্গিনা। বাতাসে দোল খাওয়া এই সূর্যমুখী দেখে পাশ দিয়ে ছুটে চলা যে কেউ আন্দোলিত হবেন। শীতের কুয়াশা ঠেলে সূর্য উঁকি দিতেই আড়মোড়া ভেঙে এই সূর্যমুখীর জেগে উঠা। আর সেই ফুলেল হাসিতে নিজেদের বৈকালীন সময় কাটাতে শত মানুষের এখানে ছুটে আসা। সূর্যের দিকেই হাজারো ফুলের মুখিয়ে থাকার এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে নিজেকে ক্যামেরা বন্দী করার লোভ সামলানো দায়।

বাগানে প্রবেশ করলেই মনে হবে- হলুদের আভায় চারিদিকেই যেন ছড়িয়ে আছে অপার মুগ্ধতা। সবুজ মাঠ আর হলুদের ফুলের ওপর মৌমাছি আর পাখির আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। ফুল থেকে তেল উৎপাদনের পাশাপাশি এখানে উৎপাদিত হচ্ছে মধুও। অনুমতি নিয়ে বাগানে প্রবেশ করি আমরা। অসাধারণ লাগছিল সূর্যমুখী ফুলের বাগান দিয়ে হেঁটে যেতে। আমি একের পর এক ছবি তুলতে লাগলাম। বলে রাখা ভালো, শীতের ফুল সূর্যমুখী। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এ ফুল ফোটে।

 

 

 

 

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তত্ত্বাবধায়নে ফরিদপুরের এই সূর্যমুখী বাগান করা হয়। শুধু বীজ সংগ্রহের জন্যই প্রায় একযুগ ধরে এখানে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী। দুই একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই খামারি সূর্যমুখী থেকে সারাদেশের ‘ডাল তেলবীজ’ খামারে বীজ সরবরাহ করা হয়। আনুমানিক ২০ হাজার সূর্যমুখী ফুলের এ বাগানে সকাল থেকেই দেখা যায় মানুষের আনাগোনা। প্রতিদিনই এই হলুদ হাতছানিতে শামিল হয় শত শত তরুণ-তরুণী।

যাওয়া-থাকা

প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে যেতে হবে। ঢাকা থেকে নাবিল পরিবহন, গোল্ডলাইন, আজমিরি এন্টারপ্রাইজ, জাকের এন্টারপ্রাইজ ও সাউদিয়া পরিবহন ফরিদপুর যায়। ফরিদপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারে যাওয়া যায় ডোমরাকান্দি গ্রামে। আর থাকার জন্য ফরিদপুর শহরে রাফিলস ইননসহ বেশ কিছু হোটেল রয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com