সুরমা নদীর পানিতে এবারের বন্যায় সিলেট নগরীর ১১টি ওয়ার্ড তলিয়ে যায়। তবে সিলেট নগরী থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বানভাসিদের পিছু ছাড়ছে না দুর্ভোগ। এখন দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগবালাই। পচা ও জমাট বাঁধা পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
প্রায় সপ্তাহ খানেকের বন্যায় সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে থাকার পর পানি নামছে। এখন দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগবালাই। তবে এমন শঙ্কা থেকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানান সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যে ওয়ার্ডগুলো বন্যায় তলিয়ে গেছে, সেখানে নিয়মিত আমাদের মেডিকেল দল থাকবে। আমরা পানি জীবাণুমুক্ত করার কাজ করেছি। তবে বিশুদ্ধ পানি পান করলে রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,পানি নেমে যাওয়ার পর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা শাখা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গ নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো এবং দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন এস এম শাহরিয়ার জানান, সিলেট জেলা ও নগরের বন্যাকবলিত এলাকায় ১৪০টি চিকিৎসা দলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১১ হাজার বানভাসি মানুষকে নানা ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ এড়াতে পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি বিতরণও করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার নতুন করে ৪৩ জন ডায়রিয়ায়, ২ জন শ্বাসকষ্টে এবং ৩ জন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জেলায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৫৩ জন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের যে প্রজেক্ট আছে, সেখানে স্লুইসগেট নির্মাণ এবং পাম্পের কার্যক্রমটা আমরা এখনো যুক্ত করতে পারিনি। তবে এর একটা প্রকল্প আমরা তৈরি করছি।
Development by: webnewsdesign.com