সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পেছানো নির্দেশনা

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২০ | ৯:৩৭ অপরাহ্ণ

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পেছানো নির্দেশনা
apps

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পেছানো বিষয়ে আদালত যে নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। প্রতিষ্ঠানটির সচিব মোঃ আলমগীর সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে আদালতে রীট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।সরস্বতীপূজার কারণে নির্বাচন পেছাতে আদালতের রীট দাখিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদালত রায় দেবে।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৩০ জানুয়ারি। গত ২২ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিলের পর থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়েছে।

মোঃ আলমগীর বলেন, সরকারী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভোটের তারিখ ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে ইসি। ২৯ জানুয়ারি ঐচ্ছিক ছুটি। ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার।
আবার ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা। তাই সব দিক বিবেচনায় নিয়েই ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের প্রচারে অংশ নেয়া নিষিদ্ধ করতে পরিপত্র জারির দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেয়া আনঅফিসিয়াল নোটে তিনি এ দাবি করেন। নোটে মাহবুব তালুকদার বলেন, বিদ্যমান আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন সম্পর্কিত যে কোন কমিটিতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এই নির্বাচনী কার্যক্রম ঘরে বা বাইরে যে কোন স্থানে হতে পারে।

বিধিমালা নিয়ে যাতে বিভ্রান্তির অবকাশ না থাকে সে জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ একটি পরিপত্র জারি করা ‘অত্যাবশ্যক’। না হলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সর্বাধিক দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এই বিধিমালা যারা প্রণয়ন করেছেন, তারাই এখন এর বিরোধিতা করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Development by: webnewsdesign.com