শত শত বছর আগে আয়ারল্যান্ডের সেই ‘ডুন’

সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২ | ১:০৬ অপরাহ্ণ

শত শত বছর আগে আয়ারল্যান্ডের সেই ‘ডুন’
apps

কয়েকশ বছর আগে আয়ারল্যান্ডের সড়ক ব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায়, নদী, সমুদ্র, লেক দিয়ে মূল শহরে প্রবেশ করতেন সেখানকার বাসিন্দারা। সে রকমই একটি নৌঘাঁটের নাম ‘ডুন’।শত শত বছর আগে আয়ারল্যান্ডে গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ চলাচল করত নৌপথে। সে সময়ের স্মৃতি রক্ষায় এখনো অবিকল রাখা হয়েছে তৎকালীন ঘাটগুলো। যেখান থেকে কয়েক গ্রামের মানুষ এক হয়ে মূল শহরে যেতে পারতেন। সে রকমই একটি ঘাটের নাম ‘ডুন’।

এই ঘাটের পাশেই রয়েছে ডুন পর্বত, যেটি একটি নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি। সেল্টিক সময়ে এই পাহাড়ের ওপর একটি দুর্গ ছিল। ১৬৫০ সালে ওয়েস্টমিথের প্রভাবশালী জমিদার আর্থার জিওগেগান এ রাজ্যটি কিনে নেন। ১৮৪০ সাল পর্যন্ত তার পরিবারই বাস করতেন এখানে। ডুনের সেই হারিয়ে যাওয়া সময় উপলব্ধি করতে প্রতিদিনই ঘুরতে আসেন শত শত পর্যটক।এখানে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, এখানকার বিশেষত্ব হচ্ছে, এক পাশে লেক আর আরেক পাশে পাহাড়। জায়গাটা মনোমুগ্ধকর এবং এখানে না এলে বুঝতাম না জায়গাটা কতটা সুন্দর। পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে কাটানোর মতো সুন্দর একটা জায়গা এটি।

আরেক পর্যটক বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার পেছনে ডুন। এর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ দ্বীপ। এগুলোতে মানুষও বাস করে।এই ঘাটের অদূরে ছোট ছোট অনেক দ্বীপ রয়েছে। এখান থেকে মূল আটলান্টিক সাগরে প্রবেশসহ আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন নদীতেও প্রবেশ করা যায়। যাওয়া যায় বিভিন্ন শহরে। এখনও এ জায়গাটিতে এলে মনেই হবে না শত শত বছর আগের ঘাটটি। ‘ডুন’-এর বাংলা অর্থ দুর্গ। এটি একটি ল্যান্ডমার্কও। স্থল ও দূর সমুদ্র থেকে দেখা যায় এই ডুন হিল।

Development by: webnewsdesign.com